দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়

ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন আরও বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা এখানে অনেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, অনান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আহ্বান জানাতে চাই। দেশকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য, ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি সেই জন্য আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতিক, কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।
ফখরুল বলেন, রমজানকে সংযমের মাস হিসেবেই জানি আমরা। কিন্তু এই মাসে সরকার সংযম দেখাতে পারেনি। গতকাল সারাদেশে আমাদের যে কর্মসূচি ছিলো সেখানে হামলা ভাঙচুর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দানবীয় সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে এক কাতারে সামিল হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। দেশকে মহাদুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করি।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, এই জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে বাঁচতে হলে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদেরকে বিদায় করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার অর্ধেক আছে, বাকি অর্ধেক ঈদের আন্দোলন গড়ে তুলে বিদায় করতে হবে।
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান, জাগপার সভাপতি লুৎফুর রহমান, এবি পার্টির আহ্বায়ক এস এম সোলাইমান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিপ্লবী ওয়াটার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, গণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীসহ গণফোরাম ও বিপিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।