বরিশালে প্রথম দিন করোনার টিকা নিতে ৮৭৭জনের রেজিস্ট্রেশন

সারা দেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধের টিকা প্রদান কার্যক্রম। বরিশালে প্রথম দিন করোনার টিকা নিতে ৮৭৭জনের রেজিস্ট্রেশন করেছে। সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। প্রথম দিন টিকা নিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং হাসপাতারে পরিচালক। এরপর অন্যান্য ডাক্তার এবং নার্সরা টিকা গ্রহণ করেন।
রোববার সকাল ১০টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি বুথে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহিন এবং সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অসীত ভূষন দাস।
টিকা প্রদান কার্যক্রম সূচনা পর্বে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, কিছু লোক করোনার টিকা নিয়ে নেতিবাচক নানা গুজব ছড়াচ্ছে। তবে যারা টিকা নিয়েছেন তারা বলছেন এতে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া কিংবা ভয়ের কিছু নেই। বরং টিকা নিয়ে তারা আরও সুরক্ষিত হয়েছেন। প্রথমে ডাক্তাররা টিকা নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তারাও টিকা নেবেন। ভয়কে জয় করে টিকা গ্রহণ করে করোনাকে পরাজিত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রথম টিকা গ্রহণকারী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, সবার ভয় ভাঙাতে তিনি সর্বপ্রথম টিকা নিয়েছেন। তার মতে ভ্যাকসিন ভীতিকর কিছু নয়। জনগণকে টিকা নিয়ে সুরক্ষিত থেকে দেশ এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে।
বরিশাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, টিকা নিতে কোন ভয় লাগেনি বরং তিনি আনন্দিত। এখন আগের চেয়ে অনেক সুরক্ষিত অনুভব হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে সকলকে টিকা গ্রহনের আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ১৭টি কেন্দ্রে প্রথম দিন টিকা নেয়ার জন্য ইতিপূর্বে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪২৭জন। এর মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের বুথে ১৮১জন, জেনারেল হাসপাতালে ১২১জন এবং পুলিশ হাসপাতালে ১২৫জন।
কশিালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়ছেন, জেলার ৯ উপজেলায় প্রথম দিন টিকা গ্রহণের জন্য প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষ নিবন্ধন করেছে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি করে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে টিকার বুথ করার কথা ইতিপূর্বে জানানো হলেও প্রথম দিন ৯টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে বুথ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম দিন কোন বুথ করা হয়নি।
তবে যারা এ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম নয় তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মোনায়েম সাদ। টিকাদান কেন্দ্রে গিয়েও যে কেউ টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।