বরিশালে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে সাড়ে ৩ লাখ শিশু

বরিশালে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে সাড়ে ৩ লাখ শিশু
বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ জেলায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৩ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ৩ লাখ ৬ হাজার ৯৬৩ শিশু এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে এলাকায় ৪৯ হাজার ৫০০ জন শিশুকে ক ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে । গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টা ও সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানায় সিটি করপোরেশন ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। আগামী শনিবার (২২ জুন) ওই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, আগামী ২২ জুন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ওইদিন বরিশাল জেলার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার ৮৬৭ জন শিশুকে নীল রংয়ের ১ লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট (আইইউ) ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬ জন শিশুকে লাল রংয়ের ২ লাখ আইইউ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা রয়েছে। বিশ্ববাজারে লাল রংয়ের ২ লাখ আইইউ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যাপসুলের সংকট রয়েছে। যার কারণে আমাদের বাংলাদেশে লাল রংয়ের ক্যাপসুলের কিছুটা সংকট রয়েছে। এ লক্ষ্যে এ প্লাস ক্যাম্পেইন প্রথম রাইন্ডে বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে লাল রংয়ের ২ লাখ আইইউ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যাপসুল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তবে এসব জায়গায় ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১ লাখ আইইউ ক্ষমতা সম্পন্ন নীল রংয়ের দুটি করে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মনোয়ার হোসেন বলেন, এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে কোনো শিশুকে খালি পেটে টিকা না খাওয়ানোর জন্য পারমর্শ থাকবে অভিভাবকদের জন্য। গরম থাকায় টিকা খাওয়ানোর পর শিশুদের কিছুটা বমি বমি ভাব হতে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ওইদিন বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪০টি টিকা দান কেন্দ্রের মাধ্যমে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বরিশাল সিভিল সার্জনের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন ৪ হাজার ১০০ জন কর্মী। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। সিভিল সার্জন বলেন, ইতোমধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি শুক্রবার (২১ জুন) জুম্মাবাদ সব মসজিদে ইমামরা জেলাবাসীকে অবহিত করবেন। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এ ভিটামিনের বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ডপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহাবুব হাসান, মডিকেল অফিসার মো. মুহাইমিনুল ইসলাম, মুন্সী মুবিনুল হক, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. বজলুল রহমান প্রমুখ। এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি কপোরেশনের (বিসিসি) সচিব মো. ইসরাইল হোসেন জানিয়েছেন, ২২ জুন বিসিসির আওতায় ২২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ৫০০ শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫ হাজার ২০ জন শিশুকে নীল রংয়ের ১ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ৪৪ হাজার ৪৮০ শিশুদের ১ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি করে নীল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ওইদিন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ২২টি প্রতিষ্ঠানের ৫০০ জন কর্মী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুুল হাসান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মতিউর রহমান, ডা. মো. ফয়সাল, ডা. মঞ্জুরুল আলম শুভ্র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস, জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান কাবলু উপস্থিত ছিলেন।