বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জের সরকারি হাস-মুরগী খামার এলাকা থেকে আ. ছালাম (৩০) নামের এক যুবকের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের শরীরের কোথাও কোন দাগ বা আঘাতের চিহ্ন নেই। কিভাবে মারা গেছে সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ তার মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নগরীর কাউনিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরকারি হাস-মুরগী খামার এলাকা নির্মাণাধীন মুক্তিযোদ্ধ কমপ্লেক্স সংলগ্ন দিঘির এক পাশে আ. ছালামের মৃত দেহ পড়েছিল।
নিহত ছালাম নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় রিক্সা চালক ছিলেন।
কাউনিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত গোলাম কবির জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে সরকারি মুরগীর ফার্ম সংলগ্ন দিঘির পামে এক যুবকের মরহেদ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দিঘির পাড়ে থাকা টয়লেটের কাছে বাশের পাইলিংয়ের সঙ্গে শরীরের অর্ধেক হেলে থাকা এবং আন্ডারওয়্যারের সাথে আটকে যাওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। লাশের শরীরের কোথাও কোন দাগ বা আঘাতের চিহ্ন নেই। তারপরও তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।