বরিশালে লঞ্চ ও বাস চলাচল নিয়ে মতবিনিময় সভা

বরিশালে লঞ্চ ও বাস চলাচল নিয়ে মতবিনিময় সভা

বরিশালে সীমিত আকারে লঞ্চ ও বাস চালু নিয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করার লক্ষ্যে লঞ্চ ও বাস মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে জেলা প্রশাসন।

আাজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় লঞ্চ ও বাস মালিক ছাড়াও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। প্রথম দফা লকডাউন শেষে গত ৩১ মে থেকে সরকার সীমিত আকারে লকডাউন শিথিল করে যাত্রী পরিবহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় লঞ্চ ও বাস মালিকদের সরকারি পজ্ঞাপন অনুযায়ী লঞ্চ ও বাস চলাচলের আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শেখ হাসিনা সেনানীবাসের ৬২ ইস্ট বেঙ্গলের কোয়াটার মাস্টার, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু, বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, বিআইডব্লিউটি-এর যুগ্ন পরিচালক আজমল হুদা মিঠু, বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রাসেল, রূপাতলি মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি, নতুল্লাবাদ মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্যরা।

সভায় যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়। গণপরিবহন খোলার কারণে করোনা যাতে বিস্তার ঘটাতে না পারে সেব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গণপরিবহনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনা করতে হবে। বাস এবং লঞ্চ অবশ্যই যাত্রার পূর্বে এবং যাত্রা শেষে অবশ্যই জীবানুনাশক পানি স্প্রের মাধ্যমে লঞ্চ ও বাস  শোধন করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাত্রীসহ সকলের মাক্স এবং যথাযথ সুরক্ষার সামগ্রি ব্যবহার করতে হবে। কোন যাত্রী বা পরিবহন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মাক্স ব্যবহার না করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাসে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহণ করতে হবে। গাড়ির সঙ্গে রুট হিসেবে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা সাটিয়ে দিতে হবে। বাসের ক্ষেত্রে পূর্বনির্ধারিত ভাড়ার সঙ্গে সীমিত সময়ের জন্য প্রস্তাবিত ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করতে পারবে। তবে ৬০ ভাগের অধিক ভাড়া আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লঞ্চের ক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। যাত্রার পূর্বেই যাত্রীদের কেবিন এবং ডেকের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ডেকে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। লঞ্চ টার্মিনালের বাইরে ডেকের যাত্রীদের জন্য আলাদা ভাবে টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা করতে হবে। অসুস্থ যাত্রী পরিবহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না সেব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। সরকারি এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন না করলে  তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।