বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুরে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দঁড়িয়েছে ছয়জনে। শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌঁনে ৬টার দিকে হারুন অর রশিদ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উজিরপুর উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নতুন শিকারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে শেবাচিমে আরও তিনজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
নিহতরা হলেন, রুহুল আমিন, আবদুর রহমান, মো. হাসান, নুরুল আমিন, শহিদুল ইসলাম এবং হারুন অর রশিদ। নিহতদের সবার বাড়ি গাজীপুরের কোনাবাড়ী উপজেলায় বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা মোল্লা ট্রাভেলসের একটি বাস ঢাকায় যাচ্ছিল। আর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাসটি বরিশাল যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটির চাকা ফেটে যাওয়ায় বরিশালের উজিরপুরের নতুন শিকারপুরে সড়কে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় বাসটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের মধ্যে অবস্থান করা এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে উজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ জানান, পটুয়াখালীর দিক থেকে আসার একটি বাস, মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। পরে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এ দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকলেও হাইওয়ে থানা ও উজিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এছাড়া মোল্লা পরিবহনের ঘাতক বাসটি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার (২০ জুলাই) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বাসের চাপায় অটোরিকশার ৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন।