বরিশালে হতদরিদ্রদের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন

বরিশালে হতদরিদ্রদের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। জনগণকে বাধ্য করার আগেই তারা নিজেরা ঘরে অবস্থান নেওয়ায় জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বরিশালের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শনিবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এদিকে গতকাল শনিবারও জনগণকে নিজ নিজ ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে বরিশালে জোড়ালো টহল দিচ্ছে সেনা বাহিনী। অপরদিকে বরিশাল থেকে সড়ক ও নৌপথে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ-বাস বন্ধ রয়েছে। নগরীর অভ্যন্তরে কিছু রিক্সা এবং মোটর সাইকেল চলাচল করলেও থ্রি হুইলারসহ সকল গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বরিশাল নগরীসহ সর্বত্র ওষুধ এবং মুদী দোকান ব্যতিত বেশীরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না জনসাধারণ। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে রোগী ভর্তি ৩ভাগ কমেছে। বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্রাইভেট চেম্বার এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও রোগী নেই।

করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে সরকারি অফিস-আদালত এবং কাজ-কর্ম বন্ধ থাকায় হতদরিদ্র জনগণের ঘরে সরকারি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জনগসমাগম নিরুৎসাহিত করতে জনপ্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থা এবং প্রশাসনের সহায়তায় কর্মহীন দরিদ্র জনগণের ঘরে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন তিনি।

অন্যদিকে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর কিছু মানুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর থেকে বরিশালের গ্রামের বাড়ি ফিরেছে। এতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকার করছেন অনেকে।

এব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেছেন, সকল ধরণের যান বন্ধ থাকায় জনগণের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারী করা হচ্ছে। এ কারণে বরিশালে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা নেই।