বরিশালে ১০৩ টাকায় পুলিশে নিয়োগ, অভিনন্দন পুলিশ প্রশাসনকে

বরিশালে ১০৩ টাকায় পুলিশে নিয়োগ, অভিনন্দন পুলিশ প্রশাসনকে
মাত্র ১০৩ টাকায় পুলিশে নিয়োগ পেয়েছে বরিশাল জেলার ৪৪ যুবক। যারা বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন। সারা দেশেই এরকম নিয়োগ হবার কথা। বাস্তবে কি হয়ে সেই চিত্র আমাদের সামনে এখনো আসেনি। তবে বরিশাল জেলার খবরটি একদম স্বচ্ছ। পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম এবং বরিশাল বিভাগের উপবিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামসহ পুলিশ প্রশাসন এই কৃতিত্বের ভাগিদার। তাই অভিনন্দন জানাতেই হয়। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পুলিশ প্রশাসনকে। ঘুষ, দুর্নীতি, টাকা ছাড়া মামলা না নেওয়া প্রভাবিত হয়ে কাজ করাসহ পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে। সব অভিযোগ সব সময় সঠিকও হয় না। পুলিশের অনেক কর্মকর্তা আছেন যারা কোন রকম অনিয়ম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননা। তারপরও কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্যর কারণে কর্তাদের গায়ে কালো দাগ পড়ে। সেই কালো দাগ মুছে দিতে এইবার স্বচ্ছতার প্রমাণ সবার সামনে। মাত্র ১০৩ টাকায় পুলিশে নিয়োগ পাওয়ার ঘটনা এর আগে হয়েছে এমন তথ্য আমাদের জানা নাই। হয়তো ছিল। হয়তো ছিল না। সেই প্রশ্নের দিকে যাব না। আশার কথা হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়ায় যেকটি টাকা প্রয়োজন তার চেয়ে একটি টাকাও বেশি খরচ করতে হয়নি নিয়োগ পাওয়াদের। অভিযোগ ছিল, পুলিশে নিয়োগ পেতে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য হতো। ফলে অর্থের বিনিময় যারা পুলিশে নিয়োগ পেত, তারা নিয়োগ পাওয়ার পরই ওই পরিমান অর্থ উত্তোলনে ব্যস্ত হয়ে যেত। আর এই টাকা তুলতে গিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। কিন্তু অর্থ না দিয়ে যদি নিয়োগ পায় তাহলে নেতিবাচক ওই কাজে পুলিশ সদস্যরা জড়িত হবেন না। এইবার পুলিশে যেভাবে স্বচ্ছ নিয়োগ হলো তাতে পুলিশ প্রশাসনে ঘুষের বদনাম ঘুচে যাবে। আমরা বলতে পারবো পুলিশই বাংলাদেশ। বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, পুলিশে নিয়োগে আর উৎকোচ, কিবংা অর্থ বাণিজ্য হবে না। আমরা ৪৪জন সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছি সব ধরণের প্রভাবের উর্ধ্বে উঠে। কোন ধরণের লেনদেন হয়নি। আগামীতে সকল নিয়োগে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। কৃতজ্ঞতা পুলিশ সুপারের কাছে। সারা দেশের সব জেলার পুলিশ সুপাররা যেন আমাদের সাইফুল ইসলামের মতো হয়। তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ আঙুল তোলার আর সাহস দেখাবেনা। আমরা এমন একটা পুলিশ প্রশাসনই দেখতে চাই। এই কাজে পুলিশের উর্ধ্বতন কমৃকর্তাদের ভূমিকাও কম নয়। তারা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তা না হলে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্বচ্ছ হলেও কাজে আসতো না। এইক সঙ্গে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও কাজ করেছে। রাজনৈতিক সুপারিশও ছিল না বলেই মনে হয়েছে। আমাদের পুলিশ বিশ্বের বুকে যেন দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। জাতিসংঘে আমাদের পুলিশ সদস্যরা সেই নজিরও রেখে চলেছে। একটি সুন্দর নিয়োগের জন্য সেলাম তোমাকে, সেলাম পুলিশ প্রশাসনকে।