বরিশালে ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা

ঈদুল আযহার দিন পশু কোরবানির ১২ ঘন্টার মধ্যে নগরীর সকল বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ক সভায় এই ঘোষণা দেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
সভায় তিনি বলেন, এবার পশু কোরবানির জন্য নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৪২টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে পশু কোরবানির পর সিটি করপোরেশনের ৯শ’ কর্মী পরবর্তী ১২ ঘন্টার মধ্যে নগরীর সকল বর্জ্য অপসারন করবে। এর মধ্যে ৩শ’ কর্মী সিটি করপোরেশনের নিজস্ব এবং অতিরিক্ত আরও ৬শ’ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে শুধুমাত্র ঈদের দিনের জন্য।
সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী নেতা, পরিবহন মালিক সমিতির ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত সভায় আসন্ন ঈদে যাত্রী ব্যবস্থাপনায় নানা সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নদী বন্দর থেকে দুটি বাস টার্মিনালে যাতায়াতের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস এবং নদী বন্দরে অসুস্থ যাত্রীদের জন্য হুইল চেয়ার রাখার ঘোষণা দেন মেয়র।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বহনকারী লঞ্চের অশুভ প্রতিযোগীতা বন্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। ঈদের সময় নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকার সদর ঘাট থেকে বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলগামী সকল লঞ্চে ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
এছাড়া পশুর চামড়ার দাম কম হওয়ায় চামড়া কেটে খালে বা ড্রেনে না ফেলে নির্দিস্টস্থানে ফেলার আহ্বান জানান মেয়র। নির্দিস্টস্থানে চামড়া ফেলার পর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা সেগুলো বিনামূল্যে বিভিন্ন মাদ্রাসায় পৌঁছে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিগত দিনে ঈদের বন্ধে হাসপাতালে চিকিৎসক নার্সের সংকট দেখা দেয়। জরুরী প্রয়োজনে চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায়না- সভায় অংশগ্রহণকারীদের এমন অভিযোগে প্রেক্ষিতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকারী যে কোন কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার দায় সরকারের উপর বর্তায়। যে কোন অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করার হুশিয়ারী দেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুর রহমান সিকদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, বিএমপি’র উপ-কমিশনার (সদর) মো. হাবিবুর রহমান খান, উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) আবু রায়হান মো. সালেহ, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল হাসান, বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার, জেলা চেম্বার সভাপতি লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান রিন্টু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিসিসি’র বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা সহ বাস মালিক, লঞ্চ মালিক, মাহেন্দ্র আলফা মালিক, শ্রমিক নেতা, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শেষপ্রান্তে মেয়র নগরবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সব ধরনের প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। বরিশালে হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রিয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাতে শরীক হওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
ঈদুল আযহার দিন পশু কোরবানির ১২ ঘন্টার মধ্যে নগরীর সকল বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ক সভায় এই ঘোষণা দেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
সভায় তিনি বলেন, এবার পশু কোরবানির জন্য নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৪২টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে পশু কোরবানির পর সিটি করপোরেশনের ৯শ’ কর্মী পরবর্তী ১২ ঘন্টার মধ্যে নগরীর সকল বর্জ্য অপসারন করবে। এর মধ্যে ৩শ’ কর্মী সিটি করপোরেশনের নিজস্ব এবং অতিরিক্ত আরও ৬শ’ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে শুধুমাত্র ঈদের দিনের জন্য।
সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী নেতা, পরিবহন মালিক সমিতির ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত সভায় আসন্ন ঈদে যাত্রী ব্যবস্থাপনায় নানা সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নদী বন্দর থেকে দুটি বাস টার্মিনালে যাতায়াতের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস এবং নদী বন্দরে অসুস্থ যাত্রীদের জন্য হুইল চেয়ার রাখার ঘোষণা দেন মেয়র।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বহনকারী লঞ্চের অশুভ প্রতিযোগীতা বন্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। ঈদের সময় নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকার সদর ঘাট থেকে বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলগামী সকল লঞ্চে ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
এছাড়া পশুর চামড়ার দাম কম হওয়ায় চামড়া কেটে খালে বা ড্রেনে না ফেলে নির্দিস্টস্থানে ফেলার আহ্বান জানান মেয়র। নির্দিস্টস্থানে চামড়া ফেলার পর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা সেগুলো বিনামূল্যে বিভিন্ন মাদ্রাসায় পৌঁছে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিগত দিনে ঈদের বন্ধে হাসপাতালে চিকিৎসক নার্সের সংকট দেখা দেয়। জরুরী প্রয়োজনে চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায়না- সভায় অংশগ্রহণকারীদের এমন অভিযোগে প্রেক্ষিতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকারী যে কোন কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার দায় সরকারের উপর বর্তায়। যে কোন অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করার হুশিয়ারী দেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুর রহমান সিকদার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, বিএমপি’র উপ-কমিশনার (সদর) মো. হাবিবুর রহমান খান, উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) আবু রায়হান মো. সালেহ, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল হাসান, বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার, জেলা চেম্বার সভাপতি লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান রিন্টু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিসিসি’র বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা সহ বাস মালিক, লঞ্চ মালিক, মাহেন্দ্র আলফা মালিক, শ্রমিক নেতা, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শেষপ্রান্তে মেয়র নগরবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সব ধরনের প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। বরিশালে হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রিয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাতে শরীক হওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।