বরিশালের ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুজনের রোবট মানব কল্যাণে কাজ করবে

বরিশালের ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুজনের রোবট মানব কল্যাণে কাজ করবে

বরিশালের ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুজনের রোবট মানব কল্যাণে কাজ করবে। ‘সোফিয়া’র অনুকরণে ‘বঙ্গ’ নামে রোবট তৈরি করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে সুজন। সুজনের উদ্ভাবিত রোবট ‘বঙ্গ’ বলতে পারে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর নাম। তাঁর এই উদ্ভাবিত রোবট পরিপূর্ণ করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত সিহিপাশা গ্রামের ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুজন পাল তার এই রোবট মানব কল্যাণে ব্যবহারের চিন্তা করছে। এই রোবট দৈনন্দিন জনজীবনে নানা উপকারে আসবে এমনও দাবি তার। রোবটটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভীড় করছে দূর দূরান্তের মানুষ। সজনের রোব পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। 

সজেজমিনে দেখা গেছে, বাংলা-ইংরেজিসহ আঞ্চলিক ভাষায়ও কথা বলতে পারে সুজনের নির্মিত রোবট ‘বঙ্গ’। জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম, জাতীয় ফুল, জাতীয় ফল, স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবস কবে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে ‘বঙ্গ’। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা ও চিকিৎসা এবং কৃষি বিষয়ক পরামর্শও দিতে পারে ‘বঙ্গ’। আগুনের সংবাদ স্বয়ংক্রীয়ভাবে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসে জানাবে এই রোবট। গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হলেও বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে ঘরের লোকজনকে সতর্ক করে দেবে রোবট। করমর্দনের জন্য হাতও নাড়াতে পারে ‘বঙ্গ। 

রোবট ‘বঙ্গ’ উদ্ভাবক সুজন পাল বলেন, এই রোবটটি প্রযুক্তিগতভাবে আরও সমৃদ্ধ করার ইচ্ছে রয়েছে তার। এ জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

সুমন জানায়, রোবট ‘সোফিয়ার’ অনূকরণে ৪ মাস আগে এই রোবট তৈরীর কাজ শুরু করেন। গত ২১ মার্চ এর সফল আবিস্কার সম্পন্ন হয়। পিভিসি সিট দিয়ে শারীরিক অবকাঠামো এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস দিয়ে তৈরি হয় ‘বঙ্গের’। রয়েছে দুটি হাত। এটি তৈরীতে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীকর সময় এই রোবট আবিস্কার হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে ‘বঙ্গ’। এটি দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন সুজনের বাড়িতে ভীর করছেন উৎসুক মানুষ। রোবট আবিস্কারে খুশী সুজনের পরিবার ও এলাকাবাসী। 

আগৈলঝাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেম বলেন, ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুজনের রোবট উদ্ভাবনের খবরে তারাও আনন্দিত। তার তৈরি রোবটটি প্রযুক্তিগতভাবে আরও সমৃদ্ধ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তার আশ^াস দিয়েছেন তিনি।

আগৈলঝাড়ার উত্তর সিহিপাশা গ্রামের জয়দেব চন্দ্র পাল ও সবিতা রানী পাল দম্পত্তির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সুজন পাশ^বর্তী গৌরনদী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন মৃৎশিল্পী এবং মা গৃহীনি। ভবিষ্যতে রোবট নিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন রয়েছে তার।