বরিশালের জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে আসছে

বরিশালের জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। নগরীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও শান্ত হয়ে এসেছে। বরিশালের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এই মুহূর্তে বিজিবি নামানোর প্রয়োজন নেই। তবে প্রয়োজন হলে যে কোন মুহূর্তে বিজিবি নামানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।
এদিকে মহানগর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় পুলিশী তল্লাশী এবং হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এদিকে সিটি মেয়রকে সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সিভিল সার্ভিস এসোসিয়েশনের দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। পুলিশের তদন্তে আস্থা না থাকায় তারা আবারও ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বছলে, এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত চলছে। নিরপরাধ কেউ হয়রানীর শিকার হবে না।
গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ৩ দফা গুলিতে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনার পর দফায় দফায় বেধড়ক লাঠিচার্জে আরও শতাধিক নেতাকর্মীসহ পুলিশ এবং আনসার সদস্যরাও আহত হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বাদি হয়ে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহসহ ২৮ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ জনকে আসামী করে একটি এবং পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহজালাল মল্লিক বাদি হয়ে মেয়রসহ ৯৪ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ৫জনসহ এ পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে পুলিশ গ্র্রেপ্তার করেছে।
এখনও নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশ তল্লাশী এবং হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম। এ ঘটনায় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সিভিল সার্ভিস এসোসিয়েশনের দেয়া বিবৃতি অনাকাংখিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি সিভিল সার্ভিস এসোসিয়েশনের ওই বিবৃতি প্রত্যাহার এবং আবারও ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
এদিকে নিরীহ কাউকে হয়রানী করা হবে না, শুধুমাত্র মামলা তদন্তের স্বার্থে যাকে প্রয়োজন তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঁইয়া।
অন্যদিকে বরিশালের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক থাকায় এই মুহূর্তে বিজিবি নামানোর প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন বিভ্গাীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল। তবে প্রয়োজন হলে যে কোন মুহূর্তে বিজিবি নামানো হতে পারে বলে জানানতিনি । পুলিশের তদন্তে সম্পূর্ণ আস্থা থাকায় এই মুহূর্তে আর কোন তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।
ওই ঘটনার পর থেকে সদর উপজেলা পরিষদসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।