বর্ণিল আয়োজনে শুভ মহালয়া

বর্ণিল আয়োজনে শুভ মহালয়া

বরিশালে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় শুভ মহালয়া উদযাপনের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।  হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই দিনে কৈলাশ থেকে মা দুর্গা পিতৃগৃহে আগমন করেন। তাই মহালয়া থেকে দূর্গা উৎসবের আমেজ শুরু হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়েছে। ভোর হতেই নগরীর স্ব-রোডের রাধা গোবিন্দ জিও মন্দিরে বিশ্বনাথ রায়ের ভক্তিকণ্ঠে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা-নমস্তৈস্য নমস্তৈস্য নমোঃ নমোঃ’ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলঘট স্থাপন এবং ঢাক-কাঁসর ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান জানান ভক্তরা।

বুধবার (৬ অক্টোবর) ভোর ৬টায় অগ্রগামী যুব সংঘের বর্ণিল আয়োজনে নগরীর স্ব-রোডের রাধা গোবিন্দ জিও মন্দিরে চ-ীপাঠ ও আগমনী সংগীত, গীতীনৃত্যালেক্ষ্য ‘মহিষাসূরমর্দিনী’ পরিবেশনার মাধ্যমেই দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে নেমে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ভানু লাল দে ও সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু  এবং জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দেসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে চ-ীপাঠ ও গীতীনৃত্যালেক্ষ্য ‘মহিষাসূরমর্দিনী’ পরিবেশনা করে চিরন্তনী বৈদিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ, নৃত্য পরিবেশনা করে নৃত্যাঙ্গণ এবং অগ্রগামী যুব সংঘের শিল্পীবৃন্দ পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

রাধা গোবিন্দ নিবাস পূজা উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু দাস বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ এর কারনে যতটা সম্ভব আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মহালয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। গত বছর স্ব-শরীরে অনুষ্ঠান করা না গেলেও অনলাইনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। আমরা ভক্তদের আর্শিবাদে এই অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছি, আগামিতেও আরো বড় করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো।’

এদিকে অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও ভক্তবৃন্দের উপস্থিতে অগ্রগামী যুব সংঘের বিগত কমিটির দ্বায়িত্ব শেষে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি রিপন মজুমদার এবং সাধারন সম্পাদক অমিতাভ গ্বোসামী দ্বায়িত্ব পেয়েছেন। এসময় পুরতন কমিটি তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।

আগামী ১১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজার মূল আন্ষ্ঠুানিকতা শুরু হবে। বরিশাল জেলায় ৫৯০টি ও মহানগরে ৪৫টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে এবার। এবং ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী এই উৎসব সমাপ্ত হবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জুবায়ের সাহেদ এবং রাখী সায়ন্তনী।