বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ হার বেড়েছে

বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ হার বেড়েছে
ল্পোন্নত দেশসমূহে ১৯৯৪ সালে ১৫ শতাংশ নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করতো। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে এর বর্তমানে হার ৬১.০৬ শতাংশ। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের এই জনসচেতনতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব আসাদুল ইসলাম। স্বাস্থ্য সচিব জানান, আগামীকাল ১১ জুলাই বাংলাদেশেও ব্যপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৯ পালিত হবে। তিনি বলেন, এ বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বা কায়রো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। কায়রো সম্মেলন ছিলো এমন একটি সম্মেলন যেখানে জাতীয় ও সর্বজনীন উন্নয়ন প্রচেষ্টা হিসেবে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারকে কেন্দ্র বিন্দুতে রেখে যুগান্তকারী কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়। কর্মকৌশলে বলা হয়, একজন নারীর জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সকল ক্ষেত্রে যেমন - অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ নিচ্চিত করতে এবং সেই সাথে নারীর প্রতি সকল ধরনের যৌন বৈষম্য দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আসাদুল ইসলাম জানান, ২৫ বছর আগে সল্পোন্নত দেশসমুহে প্রতি ১ হাজার নারীর মধ্যে ৮ জন নারী গর্ভকালীন/প্রসবকালীন সময়ে মারা যেত। বর্তমানে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০০৪ সালে ছিলো ৩.২০ জন, যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ১.৬৯ হয়েছে। তিনি আরো জানান, সল্পোন্নত দেশে ২৫ বছর আগে একজন নারী কমপক্ষে ৬টি সন্তান জন্ম দিত যা বর্তমানে ৪ এর নীচে নেমে এসেছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের প্রত্যাশা হচ্ছে "দুটি" সন্তানই যথেষ্ট। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সারে ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। এর পর সকাল সারে ১০ টায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার কৃষিবীদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।