বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার


শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের বাসভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা।

বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনে লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা।

শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের বাসভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। জরুরি অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইছেন। এটা তো আসলে সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে যদি জারি করতে পারেন, তবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যেতে পারে। সরকারের প্রতি এটা আমাদের পরামর্শ।"

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, "আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আগামীতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। এটাকে প্রতিরোধের জন্য এখনই সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।"

তিনি আরো বলেন, "বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিছু কিছু এলাকা আংশিক লকডাউন করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। অনেক দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। লকডাউন এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় তারা ভালো ফল পেয়েছে। সে দেশগুলোতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ধীরগতি হয়েছে। কোথাও কোথাও আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। আবার কোথাও কোথাও শূন্যতে চলে এসেছে।"

সাঈদ খোকন বলেন, "ঢাকা একটি জনবহুল শহর। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এখানে সম্পূর্ণ লকডাউন করা কঠিন। তারপরও তারা (ডব্লিউএইচও) ঢাকা কিংবা অন্য কোনও এলাকা আংশিক লকডাউন অথবা ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) ঘোষণা করা যায় কিনা সে বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে। সেটি আমরা সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে দেব।