স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি না করায় প্রধান শিক্ষককে মারধর করে প্রান নাশের হুমকির এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এর কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, জেলা বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আতিকুর রহমান মোহন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে একাধিকবার স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিনকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ২১ জুন শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন তার স্কুলের সহকারী শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া, আবুল কালাম আজাদ ও মোঃ রেজাউল করিম এবং চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মোঃ মিজানকে নিয়ে স্কুলে ইনহাউজ প্রশিক্ষন কেন্দ্র হওয়ায় শিক্ষক মন্ডলীদের প্রশিক্ষন চলাকালে তাদের জন্য আপ্যায়নসহ খাবারের বাজার করার জন্য কালাইয়া বন্দরে বাজার করতে গেলে আতিকুর রহমান মোহন তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মনির হোসেন, রবিউল ও জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরও ৪/৫জন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে প্রধান শিক্ষককে কিল, ঘুষি, থাপ্পর মেরে জোরপূর্বক কালাইয়া কাঁচা বাজারের উত্তর পাশে খালপাড়ে অন্ধকারে নিয়ে আটককরে ২/৩ দিনের মধ্যে তাকে (আতিকুরকে) স্কুল কমিটির সভাপতি না বানাইলে খুন করে ফেলবে হুমকি দেয়। এ সময় তার সাথে থাকা শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে গালাগাল করে এবং মারধরের হুমকি দিয়ে প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে আতিকুরসহ তার বাহিনী আতিকুরের বাসায় নিয়ে যায়। শিক্ষকরাসহ স্থানীয়রা সভাপতি বানাবে আশ্বাস দিয়ে আতিকুরের বাসা থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে বাউফলের বাসায় পৌছে দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে প্রধান শিক্ষক বখতিয়ার উদ্দিন মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তিনি প্রধান শিক্ষককে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়। ওসির পরামর্শ মোতাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন বিষয়টি মোবাইল ফোনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন।
২২ জুন শনিবার সকালে প্রধান শিক্ষক বখতিয়ার উদ্দিন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। এদিকে পুলিশ সুপারও বাউফল থারনার ওসিকে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলার পাশাপাশি অভিযোগ পত্রেও ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নিন লিখে দরখাস্তটি প্রধান শিক্ষকের হাতে দিয়ে বাউফল থানার ওসির কাছে যাওয়ার কথা বলেছেন। বাউফল থানার ওসি, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিনকে ফোন দিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে দেয়া দরখাস্তটি নিয়ে দ্রুত তার সাথে দেখা করতে বলেছেন বলে প্রধান শিক্ষক এ প্রতিনিধিকে জানান। এ ঘটনায় স্কুলের লেখা-পড়াসহ অফিসিয়াল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলেও প্রধান শিক্ষক জানান। তিনি এ ঘটনার বিচার ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা দাবী করেন।