বাংলাদেশের বিদেশ নীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের বিদেশ নীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বরিশালের শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নব প্রতিষ্ঠিত ৩টি ব্রিগেড এবং ৫টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ পতাকা উত্তোলন করেন।

পতাকা উত্তোলন শেষে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারো সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে শান্তি স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ। তবে যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে কোন দুর্যোগ দুর্বিপাকে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ভূমিকা প্রসংশনীয়। যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বাংলাদেশ জানে। ৭১ এর ধ্বংসযজ্ঞ বাংলাদেশ ভোলেনি। বাংলাদেশের বিদেশ নীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব। কারো সাথেই বৈরিতা নয়। তবে কেউ শান্তি বিনষ্ট করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। 

আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করা নতুন ব্রিগেডগুলো হলো সদর দপ্তর ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড ও সদর দপ্তর ২৮ পদাতিক ব্রিগেড। নতুন ইউনিটগুলো হলো ৪৯ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী, ১২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ান, ৬৬ ইস্ট বেঙ্গল, ৪৩ বীর এবং ৪০ এস্টি ব্যাটালিয়ান। 
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমানসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের পতাকা উত্তোলন করে এই  সেনানিবাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
২০১৭ সালে ১৪ নভেম্বর একনেকে এই  সেনানিবাস প্রকল্প অনুমোদন হয়। বরিশাল ও পটুয়াখালীর সীমান্তবর্তী পায়রা নদীর তীরে ১ হাজার ৫৩২ একর জমিতে এই সেনানিবাস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। ফোর্সেস গোল ২০৩০  এর অংশ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হয়।