বাবুগঞ্জে মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া ছাগল ও উপকরণে উপকারভোগীদের অসন্তোষ

বাবুগঞ্জে মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া ছাগল ও উপকরণে উপকারভোগীদের অসন্তোষ

মৎস্য অধিদপ্তর গোপালগঞ্জ কতৃক দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং সামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প  আওতায় উপকারভোগী জেলেদের মধ্যে ছাগল ,ছাগলে ঘর ও খাবার(ভূসী) বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত ফাতিমা ছাগলের ঘর তৈরিতে নিন্মমানের উপকরণ ব্যবহার করায় প্রশ্ন তুলেছেন।  

জানাযায়, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাবুগঞ্জের ৬ ইউনিয়নের ২০ জন উপকারভোগীর  মধ্যে ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪০ টি ছাগল, ২০ টি ছাগলের ঘর ও ভুসি বিতরণ করে উপজেলা মৎস্য অফিস।  সোমবার উপজেলা পরিষদের সামনে বিকাল ৩ টায় ছাগল ও উপকরণ বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শিমুল রানী পাল। 

একাধিক উপকারভোগী সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, যে দুইটি ছাগল দিয়েছেন তার দাম সর্বোচ্চ ৫-৬ হাজার টাকা, ছাগল ঘরের মূল্য ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ও ভুসি ২ শত টাকা। সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। অথচ প্রত্যেক উপকারভোগীর অনুকুলে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। তারা আরো বলেন, সরবরাহকারী ঠিকাদার আজাদ ও মৎস্য অফিসার যোগসাজসে প্রকল্পের টাকা হরিলুট করা করা হয়েছে। 

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন বলেন, প্রত্যেককে দুটি করে ছাগল দেয়া হয়েছে। যা নিন্ম মানের ও রোগাক্রান্ত। বর্তামন বাজারে ওইরকম দুটি ছাগল৫/৬ হাজার টাকায় ক্রয় করা যায়। ছাগলের জন্য যে ঘর তৈরি করা হয়েছে পাতলা কাঠ ও  টিন দিয়ে। এখানে স্পষ্ট দূর্নীতি করা হয়েছে।  

চাঁদপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তি যোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন রাড়ী বলেন, ছাগল বিতরণের তালিকা প্রনয়ন বা বিতরণ সম্পর্কে জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়নি। আমরা কিছুই জানি না।

রোগাক্রান্ত ও নিন্মমানের ছাগল ঠিকাদারের কাছ থেকে  বুজে রেখেছেন কিনা এমন প্রশ্নে মৎস্য কর্মকর্তা শিমুল রানী পাল কোন উত্তর না দিয়েই সটকে পরেন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত ফাতিমা বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং সামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প  আওতায় ছাগল ও উপকরণ বিতরণে দূর্নীতি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।