বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ খেয়া ট্রলারে দুইজনকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রশাসনের

বরিশালের আড়িয়ালখাঁ নদীর মীরগঞ্জ খেয়া ট্রলারে এবার দুইজনকে বেদম মারধর করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় মাঝ নদীতে ট্রলার থামিয়ে মারধর করা হয় তাদের। এক যাত্রী এই দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে মুহূর্তে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তারা নির্যাতন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে পুলিশ। অপরদিকে যাত্রী নির্যাতন ও হয়রানী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বরিশাল বিভাগীয় সদরের সঙ্গে জেলার মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা এবং কাজীরহাট থানা এলাকায় সড়ক পথে যাতায়াতে আড়িয়ালখাঁ নদীর মীরগঞ্জ খেয়া একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই খেয়া পাড় হয়। কিন্তু খেয়াটি এখন যাত্রীদের কাছে আতংকে পরিণত হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে বসচার জের ধরে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সম্প্রতি ওই খেয়ায় দুই যাত্রীকে বেদম মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জহিরুল ইসলাম খান রাসেল নামে এক ব্যক্তির পোস্ট করা ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাঝ নদীতে খেয়া ট্রলার থামিয়ে দুই যাত্রীকে বেদম মারধর করছে ইজারাদার নিয়োজিত ৫ ব্যক্তি। অন্য যাত্রীরা এই দৃশ্য দেখলেও কেউ তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে যায়নি। যাত্রী নির্যাতন এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খেয়া যাত্রীরা। তারা এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৯ জুলাই ভাড়া নিয়ে বসচার জের ধরে ওই খেয়া ঘাটে রাসেল হাওলাদার নামে যুবককে নির্যাতন করে নদীতে ফেলে দিয়েছিলো ইজারাদারের লোকজন। ওই ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে কাগাগারে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান ।
এদিকে যাত্রী নির্যাতন ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
এর আগে গত ১৯ জুলাই ভাড়া নিয়ে বসচার জের ধরে ওই খেয়া ঘাটে রাসেল হাওলাদার নামে যুবককে নির্যাতন করে নদীতে ফেলে দিয়েছিলো ইজারাদারের লোকজন। ওই ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে কাগাগারে পাঠিয়েছে।