বাল্যবিয়েতে ‘শীর্ষে’ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায়

বাল্যবিয়েতে ‘শীর্ষে’ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায়

বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার কমে এখন ৫১ শতাংশ। এ হার অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি। বুধবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের বাল্যবিয়ে পরিস্থিতি বিষয়ে ইউনিসেফের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই হারের কথা জানানো হয়েছে।

‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ: অ্যা প্রোফাইল অব প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে নিরসন করতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সচিবালয় প্রান্ত থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এতে যুক্ত হন। জাতিসংঘের প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার এবং কিশোর ক্লাবের সদস্যরাও অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এখন বাংলাদেশে যেসব বিবাহিত তরুণীর বয়স ২০ থেকে ২৪ বছর, তাদের ৫১ শতাংশের বিয়ে হয়েছে শিশু থাকা অবস্থায়।

তার মানে দেশে ৩ কোটি ৮০ লাখ মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাদের ১৮তম জন্মদিনের আগে। এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি মেয়েকে ১৫ বছরের আগেই বিয়ে করতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাল্যবিয়ের শিকার শিশুদের বেশিরভাগ দরিদ্র পরিবারের ও গ্রামে বাস করে। বাল্যবিয়ের শিকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার অবিবাহিত মেয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি।

বিবাহিত প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রতি পাঁচজন ১৮ বছরের আগে ও প্রতি ৮ জন ২০ বছরের আগে সন্তান জন্ম দেয়। বাল্যবিয়ে কমানোর অগ্রগতি উচ্চবিত্ত ও ধনী শ্রেণির মধ্যে বেশি বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।

দেশের মধ্যে বাল্যবিয়েতে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে ৯০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে হয়েছে।

জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ।এ জেলায় বাল্যবিয়ের হার ৭৩ শতাংশ। বাল্যবিয়ে সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম জেলায়, ৩৯ শতাংশ।