বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে মঙ্গলবার জ্বালানি তেলের দাম অর্থাৎ ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৮৭ দশমিক ৮৫ ডলার। একইসঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ফিউচারের দাম ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৬ ডলার।
এতে এই ধরনের তেলের দাম ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই জ্বালানি বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছিলেন, তেলের দাম আবারও বাড়বে। বিশ্লেষকদের এই আশঙ্কাই সত্য বলে প্রমাণিত হলো।
জ্বালানি বিশ্লেষকদের দাবি, ইউরোপ ও আমেরিকায় এবার তীব্র শীত পড়ায় ঘর গরম রাখতে জ্বালানির চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দামও বাড়ছে।
মহামারি করোনার শুরুতে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম অনেক কমে গিয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের দাম এখন ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেছে।
কয়েক মাস আগেই ধারণা করা হচ্ছিল, তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাজারে তেল ছেড়ে সরবরাহ বৃদ্ধির চেষ্টা করে। চীন ও ভারতও একই পথে হাঁটে। এতে তেলের মূল্যবৃদ্ধির ধারায় ছেদ পড়ে। এ ছাড়া ওপেকও দিনে অতিরিক্ত চার লাখ ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেয়।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং ওপেকসহ সহযোগী দেশগুলো সরবরাহ বৃদ্ধির অঙ্গীকার রাখতে না পারলে জ্বালানির দাম আবারও ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
২০২১ সালের শুরুতেই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলারে উঠে আসে। এর মাধ্যমে মহামারি শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে যায় তেল।
২০২২ সালের শুরু থেকেই আর্ন্তজাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে বেশ চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। নতুন বছরের ১ম সপ্তাহের মতো ২য় সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় আর্ন্তজাতিক বাজারে জ্বালানি ৩য় সপ্তাহেও তেলের দামে বড় উত্থান অব্যাহত রয়েছে।ফলে ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর অর্থাৎ প্রায় ৭ বছর পর সর্বোচ্চ দামে উঠে এসেছে জ্বালানি তেল।