বিএম কলেজ পুকুরে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, স্বজনেরা দুষলেন ফায়ার সার্ভিসকে

সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার ৪৫ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে আসার অভিযোগ করেন স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও কলেজ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) পৌঁনে দুইটার দিকে কলেজের কলা ভবন সংলগ্ন পুকুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত শিক্ষার্থী আলেকান্দা কলেজের একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। বরিশাল নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শেরেবাংলা সড়কের বাসিন্দা বাসের বডি মিস্ত্রি অরুণ কর্মকারের ছেলে সীমান্ত কর্মকার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- সীমান্ত তার বন্ধুবান্ধব নিয়ে বিএম কলেজ পুকুরে গোসল করতে নামে। এসময় পানিতে ডুবে যায়। তাকে ১ ঘন্টা পরে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের এক দল ডুবরি। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায়। পরে শেবাচিমে'র দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএম কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাবিক তুষার বলেন, 'ফায়ার সার্ভিসকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের খবর দেওয়ার ৪৫ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন তারা। এছাড়া ফায়ার-সার্ভিস সদস্যরা ব্রজমোহন কলেজ চেনেন না বলে অভিযোগ করেন এই শিক্ষার্থী।
একই কলেজের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী হৃদয় সাহা অভিযোগ করে বলেন, 'ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার ৪৫ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। কিন্তু তাদের স্টেশন থেকে এই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিট। এই মৃত্যুর দায়ভার তাদেরকে নিতে হবে। সীমান্ত পুকুরে ডুবে যাওয়ার পরে আমরা এখানে যারা সাঁতার জানি তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু ততক্ষণে সীমান্ত পানির নিচে হারিয়ে যায়।'
ঘটনাস্থলে ৪৫ মিনিট পরে পৌঁছানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল সদরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মন্নান বলেন, 'আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যথাসময়ে ডুবুরিদল পাঠিয়েছি। তবে রাস্তাঘাটে অতিরিক্ত গাড়ির থাকার কারণে এবং ছোট রাস্তা হওয়ায় একটু বিলম্ব হতে পারে। কিন্তু আমাদের সদস্যদের মধ্যে দায়িত্বে কোনো গাফিলতি ছিলো না।'