বিএম কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগে দুর্বৃত্তদের হামলা-ভাঙচুর,কম্পিউটার অপারেটরকে কুপিয়ে জখম

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তরা বিভাগের কম্পিউটার অপারেটরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা ওই বিভাগের সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার সিপিইউ নিয়ে যায়।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে হামলার সময় দুর্বৃত্তরা ওই বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চুকে এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে।
বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত বাচ্চু। হামলার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তদন্ত করে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আহত কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চু জানান, দুপুর ১টার দিকে মার্কশীট (নম্বর ফর্দ) নেওয়ার কথা বলে তাকে মুঠোফোনে রিং দিয়ে কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগে ডেকে নেয় অজ্ঞাতরা। সেখানে পৌঁছামাত্র আগে থেকে অবস্থানকারী মাস্ক পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত লাঠি সোটা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতে তার উপর হামলা চালায়। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়। এরপর হামলাকারীরা সমাজ কল্যাণ বিভাগে শিক্ষকদের কক্ষে ঢুকে এলোপাথারী ভাঙচুর করে। তারা সিসি ক্যামেরার মনিটর, টেলিভিশন, টেলিফোন, শিক্ষকদের সকল টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর এবং অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে। পরে তারা সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার সিপিইউ নিয়ে চলে যায়।
হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর আহত মিজানুর রহমান বাচ্চুকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করেন তার সহকর্মীরা। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন মিজানুর ও তার বোন সামিউন্নাহার।
ব্রজমোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া জানান, করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকলেও নম্বর ফর্দ দেওয়ার জন্য সকল বিভাগের অফিস খোলা রয়েছে। তিনি হামলার কারণ এবং হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি। তবে হামলাকারীরা সংখ্যায় ২০/২৫জন বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতার নেতৃত্বে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় নেতৃত্বদানকারী ওই ছাত্রলীগ নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এদিকে হামলার পরপরই কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে হামলাকারী কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম।