বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এবার ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলতি প্রচেষ্টা অনেকখানি জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে।’
প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) এক পোস্টে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটে পৃথিবীজুড়ে সরকারগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কর্মঘণ্টা বদলে দিয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি, বেসসরকারি সব অফিসে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অফিসগুলোতে কম আলো জ্বেলে এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুনিয়াজুড়ে সংকটের মধ্যে চীন দৃষ্টি নন্দন লাইটিং ব্যবহারও সীমিত করেছে। পৃথিবীর সব চেয়ে জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশ অস্ট্রেলিয়া নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং করছে।’
বিদুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও আমরা যদি আমাদের অভ্যাসে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জাম ব্যবহার করি, খেয়াল করে লাইট, ফ্যানগুলো বন্ধ করি, ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি না চালাই, দিনের আলো বেশি ব্যবহার করি, তাহলে সবার এই ছোট ছোট কন্ট্রিবিউশন মিলে দেশের অনেকখানি জ্বালানি সাশ্রয় করবে।’
প্রসঙ্গত, সরকারি উদ্যোগে স্কুলগুলোতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা মুখী উদ্যাগ নেওয়া হয়। এতে করে একজন শিক্ষার্থী ঘরে ফিরে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উদ্যোগ নিতে পারে। এছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রতিটি পরিবার সচেতন হলে যেমন সম্পদের অপচয় কমে যাবে। তেমনই বিদ্যুতের বিলও কম আসবে।