বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ, বাংলাদেশে মিনিটে ৯টি শিশু জন্ম নেয়

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ, বাংলাদেশে  মিনিটে ৯টি শিশু জন্ম নেয়
আজ (১১ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব প্রদান ও জরুরি মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ‘১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই থেকে দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, প্রতি মিনিটে বিশ্বে ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। আর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে ৯টি শিশু। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে যে, বর্তমানে জন্ম নেওয়া ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৯৭ জন জন্মগ্রহণ করে তৃতীয় বিশ্বের তথা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। যে দেশগুলো এমনিতেই অধিক জনসংখ্যার দেশ। তাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা ও জনগণের ক্ষমতায়ন উন্নয়নের আহ্বানের মধ্যদিয়ে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দিবসটি উদযাপনের পাশাপাশি কিশোরী স্বাস্থ্য ও বাল্য বিবাহ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দিবসটি পালনে নেয়া হয়েছে নানা কার্যক্রম। আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সচেতনতামূলক র‌্যালি বের করা হবে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে। আর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার বের করা হয়। সকাল ১১টায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বায়নে জনসংখ্যা-চ্যালেঞ্জ ও পরিকল্পিত পরিবারের সুবিধাসমূহের ব্যাপারে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই দিবসটি পালনের লক্ষ্য। সরকার, নীতি নির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি সংস্থা ও এ ব্যাপারে কর্মরত ব্যক্তিদের মনোযোগ ও কর্মপন্থা নিয়ে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ কর্মসূচি সম্প্রচার এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সাফল্যজনকভাবে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস করায় ২০১০ সালে এমডিজি (মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জন করে। সমতা ও মানবাধিকার এই মূলনীতির আলোকে তৈরি একটি নতুন টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি সরকার এই লক্ষ্য অর্জনে কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ যত্ন নেয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে।