বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে গৌতম আদানি

ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন। সম্পদের দিক দিয়ে অ্যামাজন বস জেফ বেজোস এবং লুই ভিটনের বার্নার্ড আর্নল্টকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। তার সামনে এখন কেবল ইলন মাস্ক রয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ফোর্বস রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ার তালিকায় দেখা যাচ্ছে, আগের তুলনায় আদানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় চার শতাংশ বেড়েছে। আদানির সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ ৩.৪৮ শতাংশ। বর্তমানে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২.৩৭ লাখ কোটি রুপি।
সেই হিসাবেই অল্পের জন্য অ্যামাজনের মালিককে পেছনে ফেলেছেন আদানি। একইসঙ্গে এই তালিকায় আদানি টপকে গিয়েছেন লুই ভিটনের কর্ণধার বার্নার্ড আর্নল্টকেও। তবে আগের তালিকার মতোই এবারও শীর্ষস্থানে রয়েছেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
একদিনেই কীভাবে এত সম্পদ বাড়ল আদানির?
শুক্রবার শেয়ার বাজার খুলতেই লক্ষ্মীলাভ হয় আদানি গ্রুপের। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্ট এবং আদানি ট্রান্সমিশন রেকর্ড স্তরে পৌঁছে যায়। শেয়ার বাজারের এই লাভে ভর করেই সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন আদানি। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন।
আদানির 'সফল' ২০২২ সাল
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় যারা ১০ নম্বরে আছেন, চলতি বছর তাদের মধ্যে কারও সম্পদ এত বৃদ্ধি পায়নি। তার ফলে বছরের শুরু থেকেই আদানি তুখোড় ছন্দে ব্যাটিং করছেন।
ফেব্রুয়ারিতে রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির মুকুট ছিনিয়ে নেন আদানি। গত মাসে ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় বিল গেটসকে ছাপিয়ে যান। আদানির কাছে 'হেরে গেছেন' অ্যামাজনের জেফ বেজোসও।
৬০ বছরের আদানি হলেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। বন্দর, অবকাঠামো-সংক্রান্ত বিষয়, তাপবিদ্যুৎ, আবাসনের মতো খাতে বিশাল বিনিয়োগ আছে আদানি গ্রুপের।
মাস কয়েক আগেই সিমেন্ট ব্যবসায় প্রবেশ করেছে আদানি গ্রুপ। ১০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে সুইস সিমেন্ট সংস্থা হোলসিমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেন আদানি। ভারতে হোলসিমের সিমেন্ট ব্যবসার অধিগ্রহণ করেন। যা ভারতে সিমেন্ট ব্যবসার ভোল পালটে দেবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।