বিশ্বের সব দেশে যার নামে স্টেডিয়াম চায় ফিফা
সান্তোসের সঙ্গে পেলের সম্পর্ক ছিল এক যুগেরও বেশি সময়। সেই ক্লাবের মাঠেই হয়েছে ফুটবলের রাজার শেষ কৃত্য। গ্যালারিভরা দর্শক সম্মান জানাতে হাজির হয়েছিলেন সেখানে। উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার মতে, ফুটবল খেলাকে বিশ্বের কাছে পরিচিতই করেছেন পেলে। তাই এই কিংবদন্তির সম্মানে প্রতিটি দেশে স্টেডিয়াম করার অনুরোধ জানাবে ফিফা।
পেলের শেষকৃত্যে যোগ দিয়ে ইনফান্তিনো বলেন, ‘আমরা বিশ্বের প্রতিটি ফেডারেশনকে অনুরোধ করব, তারা যেন অন্তত একটি স্টেডিয়াম পেলের নামে রাখে। এতে করে, পরবর্তী প্রজন্ম তার সম্পর্কে জানতে পারবে। তারা জানবে, পেলে পুরো পৃথিবীকে কেমন খুশিতে মাতিয়ে রাখতেন।’
ফিফা সভাপতির পাশাপাশি পেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগুয়েস ও ব্রাজিলীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান এদনালদো রদ্রিগুয়েস। ১৯৭০ মেক্সিকো বিশ্বকাপজয়ী দলে পেলের সতীর্থ ছিলেন গারসন, রিভেলিনো ও জায়ারজিনহো। গারসনের বয়স এখন ৮১ বছর, রিভেলিনোর ৭৭ আর জায়ারজিনহোর ৭৮। বয়সের কারণেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের আসাটা অনিশ্চিত।
১৯৫৬ সালে প্রথমবার এসেছিলেন সান্তোসে। বয়স তখন ১৬ বছর। এক বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের শুরু তখন থেকে। ভালোবাসার টানে আর সান্তোস ছেড়ে যাননি পেলে। তিনটি বিশ্বকাপ জেতা এই কিংবদন্তিকে পেতে চেয়েছিল ইউরোপের ঐতিহ্যবাহী একাধিক ক্লাব, তবে সাড়া দেননি এই কিংবদন্তি। ১৯৭১ সালে জাতীয় দল থেকে অবসরের পর আরো তিন বছর খেলেছেন সান্তোসে।
ব্রাজিলীয় ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের জার্সিতে শেষ ম্যাচটি তিনি খেলেন ১৯৭৪ সালের ২ অক্টোবর। ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে পন্তে প্রেতার বিপক্ষে সেই ম্যাচ সান্তোস জেতে ২-০ গোলে। মাঠ ছাড়ার আগে সান্তোসের হয়ে ছয়টি লিগ আর দুটি কোপা লিবারতাদোরেস জেতা এই কিংবদন্তিকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায় পুরো গ্যালারি।