বিশ্বের ৫৭টি দেশে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট

নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট, যা কিনা বাকি ধরনগুলোর তুলনায় বেশি সংক্রামক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার সাপ্তাহিক আপডেটে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৫৭টি দেশে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট। যা একাধিক দেশে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তারকারী ভ্যারিয়েন্টে রূপান্তরিত হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ওমিক্রনের খোঁজ মেলে। পরের মাসের শুরুতেই প্রায় ৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ডব্লিউএইচও জানায়, ১০ সপ্তাহ আগেই সেই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই খোঁজ মেলে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের। ইতিমধ্যেই যা বিশ্বের একাধিক দেশে করোনার নিয়ন্ত্রকে পরিণত হচ্ছে।
গত এক মাসে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই ওমিক্রন এবং এর একাধিক সাব ভ্যারিয়েন্ট যেমন; বিএ.১, বিএ১.১, বিএ.২ ও বিএ.৩-এর খোঁজ মিলেছে।
এর মধ্যে মোট ওমিক্রন সংক্রমণের ৯৬ শতাংশই বিএ.১ ও বিএ১.১ সাব ভ্যারিয়েন্টই দুটির মাধ্যমে ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এগুলো চিহ্নিত করা গেছেও প্রথমে।
তবে বর্তমানে বিএ.২ সাব ভ্যারিয়েন্টও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আলাদা, কারণ এটি ফের অভিযোজিত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিএ.২ সিকোয়েন্স ৫৭টি দেশ থেকে সংগ্রহ করে জিআইএসএআইডি-তে জমা দেওয়া হয়েছে। এই ৫৭টি দেশের মধ্যে বেশ কিছু দেশেই মোট ওমিক্রন সংক্রমণের অর্ধেক অংশই এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট।
ওমিক্রনের সঙ্গে এই সাব ভ্যারিয়েন্টের পার্থক্য সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি এখনও অবধি। এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, সংক্রমণের ক্ষমতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কতটা ফাঁকি দিতে পারে— এই সমস্ত তথ্যগুলো জানার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
সংস্থাটির করোনা সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরকোভে মঙ্গলবার জানান, নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে তথ্য অত্য়ন্ত সীমিত। তবে প্রাথমিক কিছু তথ্য অনুযায়ী বিএ.২ সাব ভ্যারিয়েন্টের বৃদ্ধির হার বিএ.১ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি।
তিনি বলেন, ওমিক্রন সাধারণত ডেল্টা বা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে না বলেই জানা গেলেও, এই সাব ভ্যারিয়েন্টে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি। সেই কারণে এখনো সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
পিআর/ডিআর