বিসিসি’র বাজেট নাগরিক প্রত্যাশা পূরণ করুক

বিসিসি’র বাজেট নাগরিক প্রত্যাশা পূরণ করুক
আজ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করবেন। বরিশাল সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এটাই প্রথম উন্মুক্ত বাজেট। এই বাজেট অনুষ্ঠানে নগরের গন্যমান্য ব্যক্তিসহ প্রায় ৫ হাজার নাগরিক উপস্থিত থাকবেন। ভিন্ন ধারার বাজেট অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মাননীয় মেয়র মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এই বাজেটের আকার নিয়ে আমদের কোন প্রশ্ন নেই। বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৮তম এই বাজেট অবশ্যই অতিমাত্রার স্বপ্নবিলাসী হবে না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাজেট বাস্তবায়ন হবে এমন প্রত্যাশা করছি। এই বাজেট নাগরিক প্রত্যাশা পূরণ করুক এটাই কামনা করি। আবার এটাও সত্য বাজেটে স্বপ্ন না থাকলে তিনি বাস্তবায়ন করবেন কি? তাঁর স্বপ্নগুলো যেন আমাদের স্বপ্নের সঙ্গে মিলে যায়। তার প্রতিফলন যেন থাকে বাজেটে। আগামীর বরিশাল গড়তে হলে নগাবাসীকে সঙ্গে নিয়েই সামনে এগোতে হবে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট আমাদের আগামীর পথে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এমনটা প্রত্যাশা। এই বাজেট আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের মাইল ফলক ছুঁয়ে যাবার ইঙ্গিত দেবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্যর সঙ্গে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও সামানভাবে গুরুত্ব পাবে বাজেটে। আমাদের চাওয়া টেকসই উন্নয়নের ছায়ালিপি হবে বাজেট। আমরা শুনেছি, মাননীয় মেয়র জনতার মুখোমুখী হয়ে বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে নগরবাসীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেবেন। এটাও বরিশালের ইতিহাসে প্রথম। আমরা অবশ্যই আশা করছি নগরবাসী এই বাজেটে নতুন দিক নির্দেশনা পবে। নাগরিক সমস্যা সমাধানের দিকেই বেশি নজর দেবেন মাননীয় মেয়র। এই বাজেট নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করেতে পারবে এমন প্রত্যাশা আমাদের। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট ছিল ১৭তম বাজেট। ওই বাজেটের আকার ছিল ৪৪৩ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার বাড়তেও পারে। বাজেটের আকার যাই হোক সেটা যেন বাস্তবায়নযোগ্য হয়। বিগত অর্থবছরে কর আদায় শাখায় গৃহকর আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৪ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৯ টাকা। আদায় হয়েছে ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৪ টাকা। আদায়ের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। যা তার পূর্বের অর্থবছরের চেয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি। আমরা চাই, নতুন করে যেন কর আরোপ না করা হয়। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন কর বৃদ্ধি করা হয়। আমরা মনে করি গৃহকর বাড়ানো উচিত। তবে সেটা যেন আগের বছরগুলোর তুলনায় অধিকমাত্রায় না বাড়ে। যদিও মাননীয় মেয়র বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায়, ‘গৃহকর নিয়ে নগরবাসীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’ নগরবাসী তাঁর ওই আাহ্বানে ওপর ভরসা রেখেছে। সেই ভরসার প্রতিফলন ঘটবে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেট। নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, মাননীয় মেয়র নতুন করে কোন কর আরোপ করবেন না। বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার এবং খনন কাজে। আর নগরীর সৌন্দর্য বর্ধণের কাজও গুরুত্ব পাবে এই বাজেটে। মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে তা বাস্তবায়ন হবে না এমন বাজেট আসবে না বলে নিশ্চিত করেছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ‘আমরাই গড়বো আগামীর বরিশাল’ মাননীয় মেয়রের এমন দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা পাশে থাকতে চাই। বরিশালের নাগরিকরা আপনার সকল কাজের সঙ্গী হতে চায়। আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে এই বাজেটের মাধ্যমে। নগরবান্ধব বাজেট আমাদের আগামীর পথে নিয়ে যাবে। ‘আমরাই গড়বো আগামীর বরিশাল’ এই শ্লোগানের বাস্তবায়ন হোক বাজেটে।