বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাঁদার টাকা না দেয়ায় বিসমিল্লাহ ব্রিকফিল্ডের মালিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম হাওলাদারকে (৬৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বিসমিল্লাহ ব্রিকফিল্ডের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে রাতে থানায় মামলা করেন। মামলার পর রাত ২টার দিকে টিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ভাইয়া বাহিনীর প্রধান যুবলীগ নেতা সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু ও তার স্ত্রী বিএনপি নেত্রী খাদিজা আক্তার এলিজাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হামলার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের ছেলে মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা বাবার কাছে চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদার টাকা না দেয়ায় জহিরুল, সবুজ, খলিল, রুবেলসহ ১৫-২০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করেছে।
চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির কেরামত হাওলাদার বলেন, এই ভাইয়া বাহিনী শান্ত চাকামইয়া ইউনিয়নকে অশান্ত করেছে। শিমুর স্ত্রী বিএনপি নেত্রী এলিজার রয়েছে নিজস্ব একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে।
এদিকে মশিউর রহমান শিমুর মুক্তির দাবিতে তার অনুসারীরা সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে কলাপাড়া পৌর শহরে মিছিল করেছেন।
কলাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পর রাতেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
ভোরের আলো/ভিঅ/৩০/২০২০