বুধবার মধ্যরাতের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

বুধবার মধ্যরাতের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপ মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।

নিম্নচাপে রূপ নেয়ার বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময়ে তা ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৃষ্টি হতে পারে।

আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  বলেন, ‘এখনো নিম্নচাপ হয়নি, তাই এ নিয়ে কিছু বলার সময় আসেনি। তবে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা কোথায় আঘাত করতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণত উপকূলে আঘাতের ৭২ ঘণ্টা আগে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। তাই এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে কয়েকটি মডেলে দেখা গেছে তা মিয়ানমার উপকূলে আঘাত করতে পারে।’

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আবহাওয়া বিষয়ক উইন্ডি মডেল বিশ্লেষণে দেখা যায়, বুধবার মধ্যরাতের পর লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পর তা ১৩ মে শনিবার পর্যন্ত সাগরে অবস্থান করবে। ১৪ মে উপকূলে আঘাত করতে পারে। যে তিন দিন তা সাগরে অবস্থান করবে সে তিন দিন ঝড়টি শক্তিশালী হতে পারে।

তবে আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ দেখানো হয়েছে তা যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। অতীতের সব ঝড়ে তেমনটাই হয়েছে। উপকূলে আঘাতের আগে এর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে এবারের ঝড়ের গতিপথ যদি ডান দিকে বাঁকে তাহলে তা পুরোপুরি মিয়ানমার উপকূলে আঘাত করতে পারে। আর যদি একটু বাম দিকেও আসে তাহলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

উল্লেখ্য, বছরের এ সময়টি ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম। বর্ষার আগে বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছর এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। আর এ জন্য মে মাস খুব উপযুক্ত। এপ্রিল ও মে মাস এবং অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলো হয়ে থাকে। বছরের অন্যান্য সময়ের ঘূর্ণিঝড়গুলো মূলত মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই পরিচিত পেয়ে থাকে।