ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। লকডাউনের আগের দিন হওয়াতে ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ শাখায় গ্রাহকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কে আগে সেবা নেবেন এ নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন গ্রাহকেরা। অন্যদিকে গ্রাহকের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মীদের।

অনেক শাখাতেই অতিরিক্ত ভিড়ে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। তবে ব্যাংকের শাখায় প্রবেশের সময় থার্মাল থার্মোমিটার দিয়ে গ্রাহকের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে।

লকডাউনের আগের দিন হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত লেনদেন চলছে। লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য ব্যাংক বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

লকডাউনের মেয়াদ এরপরে আরও বাড়বে কিনা কেউই বলে পারছেন না। আর এরই মাঝে নিজের কাছে নগদ টাকা রাখতে ব্যাংকমুখী হতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা। সাধারণ গ্রাহকরা বলছেন, নিতপণ্যের বাজার খোলা থাকলেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সে সময় প্রয়োজনীয় খরচের জন্য টাকা হাতে রাখতে চাই।

ডাচ বাংলা ব্যাংকে সেবা নিতে গিয়ে রাকিব হাসনাত নামে একজন বলেন, আজ অনেক সকালে এসেছি। ব্যাংকে এতো ভিড় হবে জানলে আগে থেকেই টাকাগুলো উঠিয়ে রাখতাম। এখন সিরিয়ালে দাড়িয়ে সময় পার করছি।

ধানমন্ডির এক হাসপাতালে বড় বোনকে ভর্তি করেছেন ফারহানা চৌধুরী। ইসলামি ব্যাংকের সিরিয়ালে দাড়িয়ে থেকে তিনি বলেন, দ্রত টাকা উঠানোর দরকার। তবে এসেই পড়েছি মুশকিলে। যারা সিরিয়ালে সবার ই তাড়া। একেতো লকডাউনের আগের দিন অন্যদিকে রোজার আগের দিন। সবমিলিয়ে খুব বিপদে আছি। কখন টাকা তুলতে পারবো জানি না।

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, লকডাউনে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকবে তাই গ্রাহকরা আজ ব্যাংকে ভিড় করছেন। আজ শুধু টাকা উত্তোলনই হচ্ছে। গত কয়েকমাসে এতো উত্তোলন দেখিনি।

এদিকে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এ সময়ে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলন করা যাবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও কিছু ব্যাংক থেকে বেশি অর্থ উত্তোলন করা যায়।