মঠবাড়িয়ায় জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মঠবাড়িয়ায় জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বসত বাড়ির জমি জবর দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী।

রোবাবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির অফিস কার্যালয়ে ভুক্তভোগী জিয়া খান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৮৪ সালে সাব কবলা দলিল মুলে রেকর্ডীয় মালিক ফয়জর আলীর ওয়ারিশের নিকট হতে জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডে ক্রয়কৃত ওই জমির জে,এল নং- ২২, বকসির ঘটিচোরা মৌজার এস.এ নং- ৯১৩। উক্ত জমিতে মঠবাড়িয়ায় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার কোন অংশ নাই।

এছাড়া কাগজ পত্রে তার নাম পর্যন্ত নেই। কিন্তু আমার ক্রয়কৃত জমিতে তার অংশ আছে বলে দাবী করলে তাহাকে বার বার তাগিদ দেয়া স্বত্তেও প্রমান স্বরূপ সে কোন কাগজ পত্র উপস্থাপন করতে পারেনি। সঠিক মিমাংসার জন্য পৌরসভার সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণের আবেদন করি যার প্রেক্ষিতে সার্ভেয়ার উভয় পক্ষকে জমির বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে যথা সময় উপস্থিত থাকতে বলেন। আমি আমার কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হলেও অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা সাহেব কোন কাগজ পত্রের যথার্থ প্রমান দেখাতে পারেননি।

আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাই। চিকিৎসা জনিত কারণে দীর্ঘ সময় আমার ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। এ সুযোগে আমার দখলীয় জমির সিমানা ভেঙ্গে টিনের বেড়া ও দেয়াল নির্মাণ করেন। আমি স্থানীয় লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি এবং আমার জমি জোর পূর্বক দখলের সত্যতা পেয়ে শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের নিকট সুবিচারের জন্য আবেদন করি। অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা সাহেব থানা থেকে শুরু করে সকল জায়গায় তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছেন এবং মাঝে মধ্যে তার কলেজের ছাত্রদের দিয়ে আমাকে নানাভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শণ করে আসছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমি অত্র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি। 

এ বিষয় অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি জিয়া খানের জমি অবৈধভাবে দখল করিনি বরং পৌরসভার সার্ভেয়ার ও গণ্যমান্য ব্যক্তির চুলচেরা বিশ্লেষনের মাধ্যমে সুষ্ঠরুপে বন্ঠন করা হয়েছে।