ভাণ্ডারিয়ায় এম ভি টিপু-১২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে নিহত

ভাণ্ডারিয়ায় এম ভি টিপু-১২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে নিহত

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় পোনা নদীতে এমভি টিপু -১২ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারটি ডুবে গেলেও যাত্রীরা সাঁতরে নদী কিনারায় আসতে সক্ষম হয়েছেন। এদের ৪ জন আহত অবস্থায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চিকিৎসা নেন। ট্রলারে থাকা ৪ যাত্রীর মধ্যে দুই জন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহতরা হলেন নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাঘাটা এলাকার আব্দুর রশিদ (৬৫) এবং কাঠালিয়া উপজেলার বড় কাঠালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার (৬০)। ৪জনের মধ্যে দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতাল  শেবাচিমে) প্রেরণ করা হয়।  এদিকে ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাঘাটা এলাকার আব্দুর রশিদ (৬৫) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যা্য় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্তক্যরত চিকিৎসক ডাঃ রাফাত হোসেন। 

ট্রলারে থাকা মৃত আঃরশিদের ছেলে মাসুদ জানান, রবিবার সকালে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছের চাড়া নিয়ে ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলা বাজার বিক্রয় শেষে নাজিরপুরের বৈঠাঘাটা উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডির ট্রলারটি  ছেড়ে আসে। পথে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার কচাঁ নদীর মোহনায় আসলে ভাণ্ডারিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ  এমভি টিপু -১২ পিছন দিকে ধাক্কাদিলে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় আমি এবং আমার ভাই সুমন লাফিয়ে নদীতে পড়লেও আমার আমার বাবা আব্দুর রশিদ এবং আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার গুরুতর আহত হয়। আহত আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের ডান পায়ের উরুর কাছ থেকে ভেঙ্গে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মো. ছাদেক নামের এক লঞ্চযাত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আজ রবিবার ও ভাণ্ডারিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে দুপুর আড়াইটায় এমভি ফারহান -১০ এবং এমভি টিপু -১২একই সমেয়ে ঘাট ছেড়ে কচাঁ নদীর মোহনায় পৌঁছানোর পর প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় অসাবধানতাবশত টিপু-১২ এর ধাক্কায় চারা বোঝাই ট্রলারটি নদীতে নিমজ্জিত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এবিষয়ে বরিশাল  বন্দর পরিবহন কর্মকতার্ মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,দুর্ঘটনার বিষয় শুনেছি,তদন্ত শেষে আইনগত  ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এবিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, লাশ সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হবে এবং থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হবে। মৃতের ছেলে মো. মাসুদ জানান, এঘটনায় তাদের পরিবার থেকে কোন মামলা করা হবেনা।