ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রশংসা করে তোপের মুখে বাইডেন

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রশংসা করে তোপের মুখে বাইডেন

ভারতের গণমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের চেয়ে ‘ভালো আচরণ’ করে মন্তব্য করে মার্কিন মিডিয়ার তোপের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে এখন হোয়াইট হাউস আমেরিকান মিডিয়াকে শান্ত করার চেষ্টা করছে এই বলে যে, জো বাইডেন তাদের বিরুদ্ধে অতটা কঠোরভাবে মন্তব্য করেননি। একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রপতির মন্তব্য ‘কঠোর ধরনের’ ছিল না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার প্রথম ব্যক্তিগতভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ভারতীয় মিডিয়ার প্রশংসা করেন এই বলে যে, তারা মার্কিন মিডিয়ার চেয়ে ‘ভালো আচরণ’ করে। এসময় তিনি আমেরিকান সাংবাদিকদের সমালোচনা করেন এই বলে যে, তারা একজন বিদেশী সরকার/রাষ্ট্র প্রধানের সামনে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি সোমবার জো বাইডেনের মন্তব্য নিয়ে আমেরিকান সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।

সাকি বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি যা বলেছিলেন তা হল যে, তারা সবসময় প্রাসঙ্গিক থাকতে পারে না। আমি জানি যে, এখানে কেউ এমন কথা শুনতে চায় না। তিনি আসলে যা বোঝাতে  চেয়েছেন তা হল, তিনি সেদিন কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অনেকে এর বাইরের বিষয় নিয়েও প্রশ্ন করেছিল’।

সাকি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এটি মিডিয়ার সদস্যদের জন্য কঠোরভাবে বোঝানো হয়েছিল’।

হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে, আরেকজন প্রতিবেদক ভারতীয় এবং আমেরিকান মিডিয়ার তুলনা নিয়ে আপত্তি জানান।

প্রতিবেদক বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) অনুসারে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিশ্বে ১৪২ তম অবস্থানে রয়েছে। ভারতীয় সংবাদপত্রের তুলনায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে তিনি কীভাবে এমন কথা বলেন?’

এই প্রসঙ্গে সাকি বলেন, ‘আমি শুধু আপনাকে বলব, রাষ্ট্রপতির গত নয় মাস ধরে তার ভূমিকায় দায়িত্ব পালনকালে আমি দেখেছি যে, তিনি ১৪০ বারের বেশি মিডিয়ার কাছ থেকে প্রশ্ন শুনেছেন… তিনি অবশ্যই গণমাধ্যমের ভূমিকাকে সম্মান করেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মুক্ত গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সম্মান করেন… এবং তিনি বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের মতে, মার্কিন গণমাধ্যম স্বাধীনতার ক্ষত্রে বিশ্বে ৪৪তম স্থানে রয়েছে।