ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন ২০৫ শিশু

ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন ২০৫ শিশু

আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো ২০৫ শিশু জামিন পেয়েছে। কয়েকটি কর্ম দিবসে দেশের বিভিন্ন শিশু আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে তাদের জামিনাদেশ দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) মো. নুরুল বাসির এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে জামিন পাওয়া ১৩৫ শিশুকে তাদের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অন্যদের দ্রুত অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী আইনের সঙ্গে সংঘাতে বা সংস্পর্শে আসা শিশুদের কারাগারে না পাঠিয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে গাজীপুরের টঙ্গী ও কোনাবাড়ী এবং যশোরে তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে টঙ্গী ও যশোরের কেন্দ্র দুটি বালক শিশুদের জন্য নির্ধারিত।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে গাজীপুরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৬৯৫ শিশু ছিল। যা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি। এছাড়া অন্য দুটি কেন্দ্রেও ধারণ ক্ষমতার বেশি শিশু অবস্থান করছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মামলার কার্যক্রম শিশুদের জামিন শুনানি বন্ধ হয়ে যায়।

গত ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ জারি হওয়ার পর উচ্চ ও অধস্তন আদালতে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি শুরু হয়। শিশুদের জামিনের বিষয়ে উদ্যোগ নেয় ‘সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর চাইল্ড রাইটস’। তাদের সহযোগিতা করে সমাজ সেবা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গত ১২ মে হতে ১৯ মে পর্যন্ত আটটি কর্ম দিবসে দেশের বিভিন্ন শিশু আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে ২০৫ শিশু জামিন পায়। এর মধ্যে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ১২৭ জন বালক, যশোর কেন্দ্রের ৬৬ জন বালক এবং কোনাবাড়ী কেন্দ্রের ১২ বালিকা শিশু রয়েছে।