ভেঙে ভেঙে বরিশাল যাত্রা

ভেঙে ভেঙে বরিশাল যাত্রা

সারা দেশে করোনার সংক্রমন রোধে সরকারের দেয়া লকডাউনে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সারাদেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলসহ বরিশালের সকল যান ও নৌ যোগাযোগও বন্ধ। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানুষ প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থান থেকে যাতায়েতের জন্য দূরপাল্লার কোন যান চলাচলের জন্য না পেয়ে ছোট যানে চড়ে ভেঙে ভেঙে বরিশালসহ দখিনের এলাকায় আসছে প্রতিদিন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) লকডাউনের অষ্টম দিনে মানুষের চলাচল প্রায় স্বাভাবিক দেখা যায়। সরজমিনে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটো, ব্যটারি চালিত রিকশা ও ভ্যান চলাচল করতে দেখা যায়। বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল  নথুল্লাবাদ এলাকায়  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  মাঝে মাঝে তৎপরতা থাকলেও অনেকটা সম্মুখেই মানুষের বিভিন্ন যানে চলাচল করতে দেখা যায়। এছাড়া বরিশাল নতুন বাজার মরকখোলা পুল থেকে লাকুটিয়া মিরগঞ্জ পর্যন্ত অটো চলাচল করতে দেখা যায়।

এদিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে থেকে বরিশালের পথে বিভিন্ন স্থানে যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ভেঙে ভেঙে বরিশাল আসছে যাত্রী। উজিরপুর উপজেলার ইচলাদিতে সারিবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন ধরনের যান দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, সোলায়মান আলম যাত্রী জানায়, বরিশাল যাবে তাই ফরিদপুর থেকে এসেছে প্রায় ৩০ বারের বেশি গাড়ি পরিবর্তন করে উজিরপুর এসেছে। 

বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টিতে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের তল্লাশি চেকপোস্ট থাকলেও জোড়ালো নজরদারি ছিলো না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। চেকপোস্টের উভয়পাশ ঘিরে তিন চাকার যানের চলাচল ও যাত্রীদেরও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আরো দেখা যায়, গাড়ি ভর্তি হলেই বরিশালের উদ্দেশ্য যাত্রা করছে।

অটোচালক ভোরের আলোকে জানায়, ‘বরিশাল যাচ্ছি আটকালে ফিরে আসি যাত্রীরা যা ভাড়া দেয় তাই নেই।’

গাড়িতে থাকা যাত্রী মাসুদ ভোরের আলোকে জানায়, ‘মাওয়া থেকে আসছি রামপট্টি অটো আর ভ্যানে করে তবে আমি পটুয়াখালীর বাউফল যাবো।’

ঝালকাঠিগামী আসাদুজ্জামান জানায়, ‘তার স্ত্রী কুস্টিয়া থেকে এসেছে পন্যবাহী গাড়ি ও বিভিন্ন ছোটযানে চড়ে। বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে জনপ্রতি খরচ হয়েছে ১১০০ টাকা খুব সকালে রওনা হয়ে বিকেল ৪ টায় বরিশাল পৌছায়।’