ভেজাল খাদ্য বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার

ভেজাল খাদ্য বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। আর ভেজাল খাদ্য বন্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা'স ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের আওতায় এক জাতীয় সেমিনার এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে না পারলে সরবরাহ করা অসম্ভব। ভোক্তা যে পণ্যটি গ্রহণ করছে, সেটির গুণগত মান সম্পর্কে অসচেতন। এক্ষেত্রে ভোক্তার সচেতনতা অনেক জরুরি। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে এই প্রকল্পটি ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্য গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। অনিরাপদ খাদ্য কৃষক, ব্যবসায়ী, ভোক্তা সবার জন্যই ক্ষতিকর। খাবার সময় আমাদের খাদ্যমান যাচাই-বাছাই করা উচিত।

স্ট্রিট ফুড চাইলেই বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, এগুলোকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি বলেন, খাদ্যের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে। খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজাল রোধে এই ল্যাবটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও লোকবল আছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরই গরমকালে দেশে ডায়রিয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

অনিরাপদ পানি ডায়রিয়া রোগের একটি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে কাজ চলমান রয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, আসন্ন মৌসুমে এডিসসহ অন্যান্য মশা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে সভা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এডিস মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনে প্রয়োজনীয় কীটনাশক, জনবল ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এনে ভ্যান লিউয়েন, রবার্ট ডি সিম্পসন গেস্ট অব অনার হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া প্রকল্প পরিচালক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।