ভোলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১৬৫

ভোলায় দিন দিন বাড়ছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে শহরে সংক্রমণের বেপরোয়া উর্ধ্বগতি কোনভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না।
প্রশাসনের কঠোর নজরদারি আর জরিমানা আদায়েও থামানো যাচ্ছে না অতি উৎসাহী অসচেতন মানুষকে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের পরিধি।
ভোলার সিভিল সার্জন দপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৫ জন। এর মধ্যে ১২৬ জন সদর উপজেলার। আক্রান্তের ৪৪ শতাংশ ভোলা পৌরসভার।
এর মধ্যে শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়া, দরগারোড, সার্কুলার রোড, সদর রোড, কালীনাথ রায়ের বাজার, চরনোয়াবাদ, উকিলপাড়া, মোনালিসা গলি, মাছুমাখানম রোড, আবহাওয়া অফিসরোড, অফিসারপাড়া, কালিবাড়ি রোড, মুসলিমপাড়া, পুলিশ লাইন, হাসপাতাল রোড ও যুগীরঘোল এলাকায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
এদিকে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও করোনায় এত বেশী আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসন চিন্তিত হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে এনিয়ে খুব একটা আতঙ্ক বা শঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।
জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে সকাল থেকেই নামে অসচেতন মানুষের ঢল। ফলে গত দুই সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আশঙ্কাজনক হারে।
ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহে ভোলায় ৩ হাজার ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৫১৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ছিল ৪৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
আর এই সময়ে সদর উপজেলায় করোনা আত্রান্ত হয়েছে ৯৬২ জন। এছাড়া ওই দুই সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
এপর্যন্ত জেলায় মোট ২০ হাজার ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ২২৭ জন।
এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫২৬ জন। জেলায় বর্তমানে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৭০১ জন। সক্রিয় রোগীর মধ্যে শতকরা ৫৮ ভাগ সদর উপজেলার ৯৯২ জন।
বর্তমানে হোম আইসলোশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৬৩৩ জন। আর হাসপাতালের আসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েচেন ৬৮ জন।