খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে শিক্ষা

খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে শিক্ষা

করোনাভাইরাস মহামারীতে জীবিকা হারিয়েছেন অনেকে। এরমধ্যে অনেকে সঞ্চয় ভেঙে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করছেন। করোনার কারণে থমকে গেছে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন। সন্তানদের শিক্ষার ব্যয় বহন তাদের জন্য বিলাসিতা। ভারতের আসামে এমন পরিবারের শিক্ষার্থীদের সহায়তা এগিয়ে এসেছেন এক শিক্ষক।

সঙ্গীতা নামের ওই শিক্ষক দুই ঘণ্টা পড়ান। তার বিনিয়ে সন্তানের অভিভাবকরা তাকে লাউ, ঢেঁকি শাক, মুলা, কুমড়ার ফুল, কলার মোচা, চালতাসহ নানা রকম সবজি ও চাল দেন। এতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরও সংসারের চাহিদা পূরণ হয়।

ভারতের আসামের এ শিক্ষাব্যবস্থা পাশাপাশি গ্রামগুলোতেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিহারে এমন উদাহরণ দেখা গেছে। এক অভিভাবক জানান, এ মহামারীতে অর্থ দিয়ে সন্তানের লেখাপড়া করোনার অবস্থা নেই আমার। কিন্তু সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শাক-সবজি দিতে পারছি, এতে আমি খুশি।
করোনার কারণে মার্চের পর থেকে সারা বিশ্বেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


ভোরের আলো/ভিঅ/৬/২০২০