ভ্যাকসিন নিশ্চিতে বিশ্বনেতাদের এক করছেন ড. ইউনূস

করোনার ভ্যাকসিন আগে পাবে কারা এ নিয়ে আলোচনা চলছে দেশে দেশে।ফাইজার ইতিমধ্যেই ডিসেম্বরে এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করার ঘোষণা দিয়েছে।
মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ভ্যাকসিনটির ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা পেয়েছে প্রস্তুতকারকেরা।
এদিকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পেতে চুক্তি করেছে। ফাইজারের টিকা আগে এসে যাচ্ছে এই খবরে এখন এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে।
এই অবস্থায় ভ্যাকসিন যাতে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছায় সেজন্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘গ্লোবাল কমন গুড’ নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ অর্থনীতিবিদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গ্লোবাল কমন গুড’ হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিনের ওপর বিশ্বের সব মানুষের সমান অধিকার। যেমনটা রয়েছে আলো-বাতাসের ওপর।
ইতিমধ্যেই বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, নোবেলজয়ী, রাজনৈতিক নেতা, এনজিওসহ বহু প্রতিষ্ঠান ড. ইউনূসের এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এ নিয়ে কাজ করছে পিপল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স। ঢাকাস্থ ইউনূস সেন্টার এর অন্যতম সদস্য।
পিপল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের একটি টুইট বার্তা ইউনূস সেন্টার তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছে। এতে বলা হয়, ‘খুব ভালো খবর যে ফাইজার ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বড় ওষুধ কোম্পানির মুনাফা এবং একচেটিয়া ব্যবসা করার অর্থ সময় মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে ডোজ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।’
করোনা ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার প্ল্যাটফর্মটি আরও বলে, ‘ফাইজার এবং বায়োএনটেককে অবশ্যই তাদের ভ্যাকসিন প্রযুক্তিটি প্রকাশ এবং অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে যাতে করে সারা বিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয় শত শত কোটি ডোজ ভ্যাকসিন এখন সম্ভাব্য সবচেয়ে কম মূল্যে উৎপাদন করা যায়। অন্যথায় কোটি কোটি মানুষ যাদের এই ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োজন, ভাগ্যবঞ্চিত হবে। ভ্যাকসিনের জন্য বিশ্ব অপেক্ষা করে বসে থাকতে পারে না।’