মঠবাড়িয়ায় হত্যা চেষ্টা মামলায় এক পরিবারের ৪ জন অভিযুক্ত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্কুল পড়ুয়া দশম শ্রেণির এক ছাত্রী সম্পর্কে ঝড়িয়ে বিয়ের পরবর্তীতে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার হয়েছে। এতে ওই ছাত্রী মারিয়া আক্তার তন্বী (১৫)-এর স্বামীসহ একই পরিবারের ৪ জন অভিযুক্ত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে নিহত তন্বীর ভাই মেহেদী হাসান (২৩) বাদি হয়ে তন্বীর স্বামী রাব্বি, তার বাবা মুজিবুর রহমান, মা শিরিন বেগম ও বোন মাকসুদা আক্তারকে আসামী করে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ওই দিনই রাব্বি ছাড়া বাকি ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। মেহেদী হাসান উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের দুবাই প্রবাসি হাবিবুর রহমানের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- স্বামী মিনহাজুর রহমান রাব্বি (২২), শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমান, শাশুড়ী শিরিন বেগম ও ননদ মাকসুদা আক্তার।
মামলার প্রধান আসামী নিহতের স্বামী মিনহাজুর রহমান রাব্বিকে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় শজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারী) মঠবাড়িয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই দিন বিকেলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এস আই জেন্নাত আলী আসামী রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ডের শুনানীর দিন ধার্য রয়েছে বলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তন্বীর চাচাতো ভাই ফোরকান হোসেন বলেন, ‘দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া তন্বী রাব্বির সাথে প্রেমে জড়িয়ে ঘটনার ৩ মাস আগে ঢাকায় পালিয়ে যায়। এদিকে তন্বীর মা শোক সইতে না পেরে স্টোক করে মারা যান। পরে ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান শিকদার ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান মিলনের মধ্যস্থতায় তাদের বিয়ে হয়। ঢাকায়ও তাদের বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের পরে বাড়িতে থেকে তন্বী তার ভাইকে মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতো। গত ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকালে ভাইকে যেতে বললে, তন্বীর ভাই ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেনি। বিকেলে আবারও যেতে বললে তন্বীর ভাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। ৫টার দিকে তাকে বলা হয় হাসপাতালে যেতে। হাসপাতালে গিয়ে গিয়ে বোনের লাশ দেখতে পান। সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মারিয়া আক্তার তন্বীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠান।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মিনহাজুর রহমান রাব্বিকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নববধূ স্কুল ছাত্রী মারিয়া আক্তার তন্বীর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।