প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. মজনু মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম পঙ্কজ কান্তি দাস। তিনি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ প্রোগ্রাম, শিক্ষা উপকরণ বাবদ ৮৪ হাজার ৫৭৪ টাকা এবং বিদ্যালয় রক্ষণাবক্ষেণ বাবদ এক লাখ ২৩ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। স্লিপ প্রোগ্রাম ও উপকরণ বাবদ কিছু টাকা খরচ করলেও বিদ্যালয় রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ কোনো টাকা খরচ হয়নি। অথচ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে পৃথক দুটি চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কান্তি দাস।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. মজনু মিয়া বলেন, ‘কাজ না করিয়েই এবং আমাকে না জানিয়ে স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে দুইবার টাকা তুলেছেন প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ২৬ সদস্য আলোচনা করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল ও ব্যাংক থেকে উত্তোলিত অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি’।

তবে রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কান্তি দাস বলেন, ‘আমি কোনো অর্থ আত্মসাৎ করিনি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা’।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী বলেন, ‘লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে অবশ্যই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।


ভোরের আলো/ভিঅ/১৩/২০২০