মঠবাড়িয়া পৌর শহরের লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

মঠবাড়িয়া পৌর শহরের লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে শনিবার সকাল থেকে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শণ করতে দেখা যায়। শহরের মুল প্রবেশেদ্বারগুলো বন্ধ করে নজরদারেিত রাখা হয়। সাথে চলছে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার প্রচার মাইকিং।

নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ডু, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর বরাত দিয়ে বলেন, কোভিট-১৯ মোকাবিলায় ২৬ জুন শনিবার সকাল থেকে জেলার মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও স্বরূপকাঠি পৌর শহরে আগামী ২ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। মঠবাড়িয়া পৌর শহর নজরদারীতে রয়েছে, শহরে প্রবেশের বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মঠবাড়িয়া থেকে শরণখোলা (রায়েন্দা) লঞ্চ সার্ভিস পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

তিনি সর্ব সাধারণের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, পৌর এলাকায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে সীমিত থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ীর বাইরে বের হওয়া যাবে না। মঠবাড়িয়া পৌর শহরে সকল ধরণের সমাবেশ যেমন- সামাজিক,রাজনৈতিক,ধর্মীয় সমাবেশ আয়োজন আগামী ০৭ (সাত) দিনের জন্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। পর্যটন,বিনোদন কেন্দ্র,সিনেমা হল ইত্যাদি এ আদেশের আওতায় আসবে।

মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপসানালয়ে নামাজ এবং প্রার্থনাকালে ৩(তিন) ফুট দূরত্বে অবস্থান এবং মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে উপ-পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইমাম সাহেব এবং সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় উপসানালয় কমিটিকে বিশেষ অনুরোধ করা হলো।

জনসমাগম করে খেলাধুলা এবং সকল প্রকার উৎসব আয়োজন বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এমন ধরণের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি)। আন্তঃজেলা এবং আভ্যন্তরীন রুটে চলাচলকারী সকল বাস ও ইজিবাইক অর্ধেক (৫০%) যাত্রী পরিবহন এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। বাড়ীর বাইরে অবস্থানকালে সার্বক্ষণিক শতভাগ মাস্ক পরিধান এবং কমপক্ষে ৩ (তিন) ফুট দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। পৌর এলাকার চা এর দোকানসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। পচনশীল ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সমূহ সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আবাসিক হোটেল, রেস্তোরা ও খাবরের দোকান সমূহে সকাল ৬ হতে রাত ১০ পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওষুধের দোকান খোলা রাখা যাবে। সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

বিধি নিষেধ আরোপিত এলাকার সরকারি অফিস ও ব্যাংকসমূহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করতে হবে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।