মঠবাড়িয়ায় খালের উপর ঘর

মঠবাড়িয়ায় খালের উপর ঘর

 

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের কুলুর হাট বাজার সংলগ্ন একটি সরকারি খাল দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ওই খালের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধের উপক্রম ঘটে। হুমকির মুখে পরেছে কৃষকরা। 

ইসমাইল হাওলাদার নামের এক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক এ ঘর নির্মাণ করে বলে জানা যায়। তিনি কয়েক বছর আগে স্থানীয় জানখালী উলুবাড়িয়া হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে অবসরে যান। অবসরে গিয়ে তিনি খালের উপর এ ঘর নির্মাণ করেন।

একজন শিক্ষক খালের ওপর ঘর তৈরি করলো কেন - এমন প্রশ্নের জবাবে ওই শিক্ষকের ছেলে কুলুর হাটের পল্লী চিকিৎসক তসলিম হোসেন মিলন বলেন, এখানে মক্তব চালু করা হবে। আমার বাবা এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের এই ঘরটিতে বসে লেখাপড়া শেখাবেন।

অন্যদিকে এলাকাবাসী জানালেন অন্য কথা। স্হানীয়দের প্রতিরোধের মুখে খালটির ওপর রাতের আধারে ঘরটি তোলা হয়েছে। যদিও খালটির আশেপাশে ঘর নির্মানের জন্য তাদের পর্যাপ্ত নিষ্কণ্টক জমি রয়েছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারের রাজস্ব খাত থেকে গেল বছর খালটি খনন করা হয়েছে। খননের পর খালটির মাঝে মাঝে দু'পাশে  গাইড ওয়ালের মত পিলার দিয়ে প্রস্হ ও গভীরতা সনাক্ত করা আছে। খালটির ওপর দিয়ে যাওয়া একাধিক রাস্তায় কালভার্ট স্হাপন করা আছে। 

খালটি দিয়ে দু'টি গ্রামের পানি ওঠা নামা করে। দু'টি গ্রামই বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের।  একটি ৮ নং ওয়ার্ড  জানখালী আরেকটি ৯ নং ওয়ার্ড উলুবাড়িয়া। স্হানীয় গ্রাম পুলিশ রণজিৎ মিস্ত্রির বাড়িও অস্তিত্ব সংকটে পরা এই খালটির পাশেই।

স্থানীয় বজলু রহমান বিশ্বাস, নূর ইসলাম বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাওলাদার, সেকান্দার হাওলাদার, হৃদয় বেপারি, ইমাম হোসাইন, ফারুক মিয়া সহ শত শত গ্রামবাসী চাষাবাদ ও পুকুরে মাছ চাষ ছাড়াও বিভিন্ন কাজে এই খালটির পানি ব্যবহার করেন।

স্থানীয়রা জানান, ঘরটি উচ্ছেদ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো। তবে দখলদারির সাথে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় তহশিলদারকে পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।