মঠবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পণাকারী গ্রেপ্তার

মঠবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পণাকারী গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রেম ও পূর্ব শত্রুতার জের কিশোর গ্যাংয়ের এলোপথারী ছুরিকাঘাতে নিহত সেই ছাত্রলীগ নেতা রাহাত হোসেন (২০) হত্যার মূল পরিকল্পণাকারী রনি (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ( ১৬ নভেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাশ্বর্বতী উপজেলা পাথরঘাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রনি টিয়ারখালী গ্রামের বাহাদুর খানের ছেলে। রাহাত হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ এ যাবৎ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য আসামিরা হলো উপজেলার দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের মহারাজ মালের ছেলে শাওন মাল (১৭), আলী ফরাজীর ছেলে আসাদুল ফরাজী (১১), দুর্গাপুর গ্রামের রুহুল আমিন মোল্লার ছেলে নাদিম মোল্লা (১৭)। ও সন্দেহভাজন হিসেবে চুন্নু মিয়া ও সেন্টুকে গ্রেপ্তার করে।

নিহত রাহাত হোসেন উপজেলার দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের শাহ আলম হাওলাদার ছেলে ও গুলিসাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি এবং ডৌয়াতলা ওয়াজেদিয়া কলেজের একাদ্বশ শ্রেণীর শেষ বর্ষের ছাত্র। নিহত রাহাতের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বাদি হয়ে গত রোববার ১২ জন নামীয়সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে উপজেলার টিয়ারখালী আ. মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা শেষে শুভ তার বন্ধুদের নিয়ে গুলিসাখালী আসার পথে বোবা বাড়ি নামক স্থানে পৌছলে প্রেম ও পূর্ব শত্রুতার জেরে রনি ও সাব্বিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শুভ’র উপর হামলা চালায়। এসময় শুভকে বাঁচাতে তার বন্ধুরা এগিয়ে আসলে দেশীয় অস্ত্রের এলোপাথারি কোপে রাহাত, সানাউল, আরিফ ও আঃ লতিফ আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহাত হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, গ্রেপ্তারকুত রনিকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়াও এজাহারভুক্ত অপর তিন আসামি ও সন্দেহভাজন দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।