মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার জমিতে ঘর উত্তোলনসহ চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার জমিতে ঘর উত্তোলনসহ চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মুসলিম বিবাহ (নিকাহ) রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা মাহমুদুল হাসান খন্দকার নামের এক কাজীর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমির মধ্যে বসতঘর উত্তোলনসহ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হারুন অর রশিদের ভাই ফিরোজ খন্দকার। তিনি বলেন, নিকাহ রেজিষ্ট্রারের দায়িত্বে থাকা প্রতিবেশী মাহমুদ খন্দকার (কাজী) দুর্ধর্ষ ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। সে নিজেকে স্থানীয় সাংসদের লোক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অহেতুক হয়রানি করে আসছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার জমিতে বসতঘর উত্তোলন করে। 

তিনি আরও বলেন, তার জরাজীর্ণ ঘর ভেঙে নতুন ঘর তুলতে গেলে মাহমুদুল হাসান খন্দকার কাজী তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এমনকি তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হারুন অর রশিদ ঘর উত্তোলন করার সময়ও চাঁদা দাবি করেছিল। যা মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তক্ষেপে পণ্ড হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগে একটি মিথ্যা মামলার করে। এছাড়াও ভাইয়ের ছেলেকে (পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত) ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। এই মাহমুদুল হাসান খন্দকার (কাজী)ই পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৎকালীন বিচারককে হুমকি দিয়ে ১০ মাস কারাভোগ করেছিল। এ কাজীর অন্যায় ও অবিচারের হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবেশী ও মাহমুদ কাজীর হয়রানির শিকার হওয়া আহম্মেদ ফরাজী, জলীল জমাদ্দার, কবির হোসেন হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াদুদ রহমান পিরু সিকদার প্রমুখ। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাহমুদ খন্দকার (কাজী) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বরং ফিরোজ খন্দকারই সীমানা অতিক্রম করে আমার জমির মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এ ঘটনায় নির্বাহী আদালতে মামলাও করা হয়েছে।