মন্দিরের ফটক খোলায় নিমন্ত্রণ না পেয়ে মারধরের অভিযোগ

বরিশাল নগরীর মন্দিরের ফটক খোলার সময়ে নিমন্ত্রণ না পেয়ে মন্দির পূজা কমিটির সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকার, সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা ও সদস্য খোকন চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ ধর্মরক্ষ্মীনি সভাগৃহে ডেকে নিয়ে জিয়া সড়কের জয় দুর্গা কামেশ্বরী মন্দির পূজা কমিটির সভাপতি জগদীশ বৈদ্যকে মারধর করা হয়। পরে জগদীশ বৈদ্যকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জগদীশ বৈদ্য বলেন , ‘জয় দুর্গা কামেশ্বরী মন্দির প্রতি বছর এক মাস করে বন্ধ থাকে। সেই মন্দিরের ফটক খোলার জন্য মন্দির কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র দে এর সাথে কথা বলা হলে সে মন্দির খুলতে বলেন। সেই মোতাবেক মন্দিরের ফটক খোলা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাসায় ফেরার পথে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পাপ্পা ফোন দিয়ে ধর্মরক্ষ্মিনী সভাগৃহে আসতে বলে, কিছুক্ষণ পর সভাপতি তমালও যেতে বলে সেখানে। ধর্মরক্ষ্মিনীতে যাওয়ার পর তাদের কেন মন্দির খোলার সময় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এই অযুহাত দেখিয়ে সদস্য খোকন আমাকে মারধর শুরু করে ধর্মরক্ষ্মিনী সভাগৃহে বসেই মারধর শুরু করে। এরপর তমাল ও পাপ্পাও এলোপাথারি মারধর করে। এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
জগদীশ বলেন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি জোড়পূর্বক বিভিন্ন মন্দিরে হস্তক্ষেপ করছে। তারা জোড় জুলুম করছে। বিগত দিনে বিগত কমিটিগুলো থেকে এমন আচরণ আমরা পাইনি।
এদিকে করোনাকালিন সময়ে তমাল মালাকার শ্মাশানে সাধারণ মানুষদের দাহ করতে দেয়নি। পরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের হস্তক্ষেপে দাহ হতো।
এই বিষয়ে জানতে বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা বলেন, জগদীশকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেন মন্দির খোলার সময় আমাদের জানানো হয়নি। কিন্তু তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।