উত্তম কুমার বাংলা সিনেমার মহানায়ক। তিন দশকের ক্যারিয়ারে বাংলা-হিন্দি মিলিয়ে অভিনয় করেছেন দুইশোর বেশি ছবিতে। যার শুরু ১৯৪৮ সালে দৃষ্টিদান সিনেমা দিয়ে। তবে প্রথম দিকের কয়েকটি ছবি ব্যবসা অসফল হওয়ায় তার কপালে জুটেছিল 'ফ্লপ মাস্টারের' খেতাব। ৫২ সালে যাতে যতিচিহ্ন আঁকে 'বসু পরিবার' সিনেমা। এই কিংবদন্তীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি রইলো অতল শ্রদ্ধা।
সেলুলয়েডের অনন্য কাব্যে আজও জীবন্ত তিনি। ব্যর্থতার ছাঁই থেকে গড়েছিলেন সফলতার প্রাসাদ। পরপারে চলে যাওয়ার পরও তার অভিনয়ের দ্যুতিতে এখনও আলোকিত টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তিনি উত্তম কুমার; বাঙালির মহানায়ক।
সাফল্যের শীর্ষে পৌছলেও অবসর সময় কাটাতেন পরিবারের সাথে। প্রায়ই ছুটে যেতেন ভবানীপুরের বাড়িতে মায়ের কাছে। শনি-রবিবার মা চপলাদেবীর হাতে তৈরি ভেটকি মাছের কাঁটাচচ্চড়ি খাওয়া ছিল তার সাপ্তাহিক রুটিন।
ছোট-বড় কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানই বাদ দিতেন না এই কিংবদন্তি। নিজ বাসায় পার্টি করতেও বেশ পছন্দ করতেন। তাই প্রায়ই তার বাড়িতে বসতো আসর।
তার পছন্দের আরেকটি খাবার ছিল লুচি। শ্যুটিং শেষে মাঝে-মধ্যেই রসনার তৃপ্তি মেটাতেন এতে। শুধু খাবারেই নয় তার পোশাকেও সব সময় ছিল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। অনেক ছবিতেই ধূতি, পাঞ্জাবী আর শাল পরেছেন তিনি।
এই পথের কেউ চায়নি শেষ, তবুও যেতে হয়েছে ওপারে। ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মাত্র ৫৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান উত্তম কুমার।