মানবিক সহায়তা নিয়ে কবিতার ক্লাশ আবৃত্তি চর্চ কেন্দ্র

মানবিক সহায়তা নিয়ে কবিতার ক্লাশ আবৃত্তি চর্চ কেন্দ্র

বরিশালে এবার মানবিক সহায়তা নিয়ে মাঠে দাঁড়িয়েছে কবিতার ক্লাশ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সহযোগিতা একত্র করে তারা কর্মহীনদের জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তদের ওই সহযোগিতায় ২০০ কর্মহীন মানুষের জন্য খাদ্য উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায ববরিশাল নগরের সরকারি বরিশাল কলেজ মাঠে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা ওই খাদ্য সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে চাল, ডাল, আলু পেঁয়াজ এবং কাপড় কাচা গুড়া।

খাদ্য সহায়তা দেয়া উপলক্ষে অনাড়ম্বর আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সম্বয় পরিষদ ও বরিশাল নাটকের সভাপতি কাজল ঘোষ, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান মুরাদ আহমেদ, করোনা মোকাবেলায় বরিশালে মানবতার বাজার ও ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্যোক্তা ডা. মণিষা চক্রবর্তী, কবিতার ক্লাশ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট সোনিয়া আল আকসা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য আজমল হোসেন লাবু, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মারিফ আহম্মেদ বাপ্পি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বরিশাল জেলা শাখার সাধরণ সম্পাদক ¯েœহাংশু কুমার বিশ^াস, সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান সাগর, জোবায়ের হোসেন শাহেদসহ অন্যরা।

কবিতার ক্লাশ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া আল আকসা বলেন, করোনায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে কর্মহীন মানুষ। তাদের জন্য একটা কিছু করার জন্য কবিতার ক্লাশের শিক্ষার্থীদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছিল। বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে। তাদের আর্থিক সহযোগিতা একত্র করে আজ ২০০ মানুষের পাশে সামান্য হলেও খাদ্য সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সমাজের প্রতিটি মানুষ তার সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসলে দীর্ঘমেয়াদী করোনার প্রভাব মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা বিশ^াস করি। অনিশ্চয়তার এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাই সবার সহযাগী হোক।

ডা. মণিষা চক্রবর্তী বলেন, করোনার এই দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার দরকার। কবিতার ক্লাশ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। আগামীতে আমাদের আরো বেশি বোশি সহযাগী হয়ে কাজ করতে হবে। ত্রাণ বিতরণসহ সচেতনতায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে পারলে বেশি মানুষের কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব হবে। তবে কেবল খাবার সহায়তা নয়, এর পাশাপশি মানুষদের সচেতন করার কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানো এবং তাদের চিকিৎসায় উদ্যোগ নিতে হবে। আক্রান্ত হলেই তাদের দূরে সরিয়ে না দিয়ে শরীরিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ বলেন, করোনার এই মহামারী মোকাবেলায় আমাদের সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে। আগামী কতদিন এই মহামারী থাকবে তা আমাদের জানার বাইরে। শুরুর দিকে সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, উদীচী, বরিশাল নাটকের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে কর্মহীন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ কবিতার ক্লাশ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের শিক্ষার্থী এবং অভিভাকরা ২০০ কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। দীর্ঘ মেয়াদী এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হলে সরকারের পাশাপাশি আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।