মানুষের ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন সাবেক কাউন্সিলর জেলাল

মানুষের ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন সাবেক কাউন্সিলর জেলাল

সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল।  সৈয়দ এবং জাকির হোসেন বিলুপ্ত হয়ে মানুষের অন্তরে ঠাঁই নিয়েছিলেন জেলাল ভাই হিসেবে। জীবীত জেলাল জানতে পেরেছিলেন কি না আমরা জানি না। তবে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া জেলালের আত্মা জেনে গেলো মানুষ তাঁকে কতটা ভালোাবাসে। তাই তো মানুষ শেষবারের জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে হাজির হয়েছেন সৈয়দ জাকির হোসেন জেলালের বাড়িতে এবং নামাজে জানাজায়। মানুষের ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিয়েছেন জেলাল।

বুধবার আছরবাদ বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলালের নামাজে জানাজায়।

বরিশাল নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারবার নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র সৈয়দ জাকির হোসেন জেলালের জানাজা শেষে মুসলিম গোরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

জানাজা নামাজে বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, জেলালের বড় ভাই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ দুলাল, মেঝ ভাই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, ২ নম্বর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। নামাজে জানাজায় অংশ নেওয়া মুসুল্লীতে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। পরে তার মরদেহ নগরীর মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়। 

সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল গত মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ৩ ভাই ও ১ বোনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এতটা জনপ্রিয় ছিলেন এমনা জানতেন না জেলালের পরিবারের সদস্যরাও। জেলাল অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে সাধারণ মানুষ জেলালের সুস্থ্যতা কামনা করে প্রতিদিন বাড়িতে আসতেন। মৃত্যু সংবাদ শোনার পর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডসহ বরিশালে শোকের ছায় নেমে আসে।

 বুধবার সৈয়দ জাকির হোসেন জেলালের মরদেহবাহী গাড়ি তাঁর বাড়ি চত্বরে প্রবেশের আগেই সেখানে একধরণের আহাজারি শুরু হয়। না সে আহাজারী পরিবারের সদস্যদের ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের। কান্নায় ভেঙে পরা সাধারণ মানুষ জেলালের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতার ফিরিস্তি দিয়ে আহাজারি করতে থাকেন। একজন কাউন্সিলর এতটা জনপ্রিয় ছিলেন এটা না দেখলে বিশ^াস করা কঠিন। সবচেয়ে আশ্চয্যের বিষয় গতকালের বৈরী আবহাওয়া উপক্ষো করে জেলালের শেস নামাজে জানাজায় মানুষের ঢল নামে। এটা কেবল জেলালের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসই বলতে হবে। জেলালের শেষ যাত্রায় সাধারণ মানুষ প্রতিদান দিয়েছে বলে মনে হয়েছে।